রাজধানীর বনশ্রীতে এক গৃহকর্মীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে খিলগাঁও থানায়।
একটি মামলা করেছেন নিহত লাইলী আক্তারের (২৫) ভাশুর শহীদুল ইসলাম, যাতে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে গৃহকর্তার বিরুদ্ধে।
সংঘর্ষের ঘটনায় অর্ধ শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ।
শুক্রবার গৃহকর্মী লাইলীর লাশ উদ্ধারের পর তাকে হত্যার অভিযোগ এনে স্থানীয়রা বনশ্রী জি ব্লকের চার নম্বর রোডের ওই সাত তলা বাড়ি প্রায় দুই ঘণ্টা ঘিরে রাখে এবং একটি গাড়ি পুড়িয়ে দেয়। তখন পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষও হয় স্থানীয়দের।
খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক মনসুর আহমেদ বলেন, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহীদুল হত্যামামলাটি করেন।
এতে বাড়ির মালিক মুন্সী মইন উদ্দিন, তার স্ত্রী শাহনাজ ও বাসার দারোয়ান তোফাজ্জল হোসেন টিপুসহ অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
“এই তিনজনকে রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে,” বলেন এসআই মনসুর।
ভাংচুর ও নাশকতার অভিযোগে খিলগাঁও থানার এসআই মনজুর রহমান বাদী হয়ে অন্য মামলাটি করেন বলে মনসুর জানান। মামলায় প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
মুন্সী মইন উদ্দিনের বাড়ির গৃহকর্মী লাইলীকে শুক্রবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মইন উদ্দিনের দাবি, লাইলীকে আত্মহত্যা করেছেন।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. বাচ্চু মিয়া জানান, লাইলীর গলায় কালো দাগ ছিল। শরীরের অন্য কোথাও আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি।
অন্যদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, লাইলীকে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল।