মিয়ানমার সেনাবাহিনীর চার লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। তাদের মধ্যে নারী এবং শিশুর সংখ্যাই বেশি। জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ ১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ এবং গ্রামের পর গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়ার কারণে বাংলাদেশে এখনও আসছে শরণার্থীর ঢল। এদিকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের প্রধান জেইদ রাদ আল হুসেইন রাখাইন প্রদেশের সহিংসতার ঘটনাকে পাঠ্যপুস্তকে পঠিত জাতিগত নিধনের উদাহরণ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার প্রধানের মুখপাত্র লিওনার্দো দোলে জানান, শরণার্থীর ঢলে বাংলাদেশ সীমান্তে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অন্তত তিন হাজার রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। রোহিঙ্গাদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছে তুরস্ক; প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান জানিয়েছেন, জাতিসংঘের কাছে রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে কথা বলবেন তিনি। রাখাইন রাজ্যের ৪০ শতাংশ গ্রামই এখন মানুষশূন্য। রোহিঙ্গা অধ্যুষিত গ্রামগুলোর মধ্যে ১৭৬টিতেই কোনো জনমানব নেই বলে জানিয়েছেন মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র জাও হাতে। বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান তিনি। জাও হাতে জানান, তিনটি পৌরসভায় মোট ৪৭১টি রোহিঙ্গা গ্রাম রয়েছে। তার মধ্যে ১৭৬টি গ্রাম জনশূন্য হয়ে গেছে। পার্শ্ববর্তী ৩৪টি গ্রামে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।