গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙা স্টেশনে সান্তাহারগামী একটি ট্রেনের নিচে বোমাসদৃশ বস্তু দেখা গেছে। ট্রেনটি আজ সোমবার সকাল থেকেই আটকে রেখেছিল দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত সাংসদ মনজুরুল ইসলামের (লিটন) সমর্থকেরা।
ঘটনাস্থল থেকে আমাদের প্রতিবেদক জানান, বোমাসদৃশ বস্তুটি ট্রেনের নিচে এমনভাবে রাখা হয়েছে যাতে ট্রেন চললেই তাতে চাপ লাগে। এতে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
গত শনিবার সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জের সাহাবাজ গ্রামে ঘরে ঢুকে সাংসদ মনজুরুল ইসলামকে গুলি করে হত্যা করেছে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা। স্থানীয় আওয়ামী লীগ এ ঘটনায় জামায়াত অথবা উগ্রপন্থীদের সন্দেহ করছে।
সাংসদকে কারা, কেন হত্যা করেছে, এ বিষয়ে এখনো অন্ধকারে পুলিশ। পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে ১৮ জনকে আটক করেছে, তাঁরাও জামায়াত-শিবিরের স্থানীয় নেতা-কর্মী বা সমর্থক বলে জানা গেছে।
গত বছর একটি শিশুকে গুলি করে আলোচনায় আসেন সাংসদ মনজুরুল ইসলাম। তখন সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগে সাংসদবিরোধী একটি পক্ষ সক্রিয় হয়েছিল। এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, রাজনীতিতে বিরোধ থাকবেই। তবে মনজুরুলের সঙ্গে দলের কারও এমন বিরোধ ছিল না যে তাঁকে খুন করাতে হবে।
সাংসদকে হত্যার প্রতিবাদে গতকাল রোববারও বামনডাঙ্গার শাহবাগ এলাকায় সান্তাহার-লালমনিরহাট রেলপথ অবরোধ করা হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের ডাকে সুন্দরগঞ্জে গতকাল হরতাল পালন হয়। সাংসদের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত সুন্দরগঞ্জে হরতাল পালন করা হবে বলে জানিয়েছিলেন বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক নাদিম হোসেন।