রাজধানীতে অভিযান চলাকালে কোনো পরিবহন মালিক গাড়ি চালানো বন্ধ রাখলে রুট পারমিট বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর রমনা এলাকায় অভিযানের সময় সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘অভিযান চলছে। যারা রাস্তায় বাস নামাবে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযান চলাকালে জরিমানার ভয়ে কিংবা ইচ্ছাকৃতভাবে বাস চলাচল বন্ধ রাখলে ওই বাসের রুট পারমিট বাতিল করা হবে। আমরা বন্ধ রাখা বাসের তালিকা করছি।’
এর আগে সোমবার সকালেও একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে তিনি এ কথা বলেছিলেন।
গত কয়েকদিন ধরেই রাজধানীতে পুরনো গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে বিআরটিএ।এর সঙ্গে যোগ দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনও। যানবাহনের বাম্পার অপসারণ ও অন্যান্য অনিয়ম বন্ধে রোববার থেকে অভিযান শুরু হয়েছে।
এর আগে গণপরিবহনের নৈরাজ্য ঠেকাতে গত ৪ এপ্রিল রাজধানীতে সিটিং সার্ভিস বন্ধের ঘোষণা দেন সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েতুল্লাহ। রোববার থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়।
তবে এ সিদ্ধান্তে এক শ্রেণির মালিকপক্ষ নাখোশ হয়ে বিভিন্ন কৌশলে যাত্রীদের ভোগান্তিতে ফেলে প্রতিশোধ নিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া অভিযোগ রয়েছে এ সিদ্ধান্ত মানছেও না অনেক পরিবহন কর্তৃপক্ষ। তারা আগের মতোই সিটিং পদ্ধতিতে যাত্রী আনা-নেওয়াসহ বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে। আবার কিছু কিছু পরিবহন সিটিং উঠিয়ে মাত্রাতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। ফলে যাত্রীদের ভোগান্তি আগের মতোই রয়ে গেছে। আর সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে গণপরিবহন সংকট।
অভিযানের কারণে এবং সংকট সৃষ্টির লক্ষে গাড়ি রাস্তায় নামাচ্ছে না পরিবহন মালিকরা। এসব মালিকদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান।