জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আমৃত্যু কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। অন্য চার বিচারপতি হলেন- জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আব্দুল ওয়াহাব মিঞ্চা, বিচাপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসাইন হায়দার।
আজ সকালে মৃত্যুদণ্ড চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা রিভিউ আবেদন ও খালাস চেয়ে করা সাঈদীর রিভিউ আবেদনের দ্বিতীয় দিনের শুনানি শুরু হয়। আপিল বিভাগ উভয় পক্ষের আবেদন খারিজ করে দিয়ে এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে সাঈদীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এর আগে গত ৬ এপ্রিল প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ সাঈদীর রিভিউ শুনানির জন্য ১৪ মে দিন ধার্য করেন। গতকাল রোববার এ বিষয়ে শুনানি শুরু হয়।
২০১৬ সালের ১৭ জানুয়ারি আপিলের রায় থেকে খালাস চেয়ে রিভিউ আবেদন দায়ের করেন সাঈদী। মোট ৯০ পৃষ্ঠার রিভিউ আবেদনে আমৃত্যু কারাদণ্ড থেকে খালাস পেতে ১৬টি যুক্তি দেখানো হয়।
গত বছরের ১২ জানুয়ারি সাঈদীর অমৃত্যু কারাদণ্ড থেকে বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড করার জন্য সুপ্রিমকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রাষ্ট্রপক্ষ রিভিউ আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের ৩০ পৃষ্ঠার মূল আবেদনে ৫টি গ্রাউন্ড দেখানো হয়।
২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর সর্বোচ্চ আদালত সাঈদীর রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করেন।
২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড প্রদান করেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।