রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Smoking
 
মানবতাবিরোধী অপরাধ করছে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী
প্রকাশ: ০৯:৪০ am ২৭-০৯-২০১৭ হালনাগাদ: ০৯:৪৩ am ২৭-০৯-২০১৭
 
 
 


মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর সঙ্গে সেদেশের নিরাপত্তা বাহিনী মানবতাবিরোধী অপরাধ করছে। এই অভিযাগ করেছে নিউইয়র্ক-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সংস্থাটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বানও জানানো হয়েছে। সংস্থাটি এক প্রতিবেদনে বলছে, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী সেদেশের রাখাইন প্রদেশের রোহিঙ্গা মুসলিম সংখ্যালঘুদের ওপর বলপূর্বক দেশ থেকে বহিষ্কার, হত্যা, ধর্ষণ ও নিপীড়নের মতো কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। এর ফলে `অসংখ্য মৃত্যু` এবং `গণহারে দেশত্যাগের` ঘটনা ঘটেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের উচিত দেশটির ওপর সুনির্দিষ্ট ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা এবং বর্মী সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা, যাতে আরো মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটতে না পারে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের আইন ও নীতিমালা বিষয়ক পরিচালক জেমস রস বলেন, বার্মার সেনাবাহিনী নির্মমভাবে রোহিঙ্গাদের উত্তর রাখাইন প্রদেশ থেকে বের করে দিচ্ছে। গ্রামবাসীদের ওপর গণহত্যা এবং গণহারে অগ্নিসংযোগ, লোকজনকে বাড়িঘর থেকে তাড়িয়ে দেওয়া এগুলো সবই মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তাদের গবেষণায় উপগ্রহ থেকে পাওয়া ছবি ব্যবহারের কথা বলেছে। অবশ্য মিয়ানমার সরকারের একজন মুখপাত্র এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বার্তাসংস্থা রয়টারকে জাও তাই বলেন, শক্ত কোনো প্রমাণ ছাড়া এসব অভিযোগ `বিপজ্জনক`। এর আগে জাতিসংঘ `রাখাইন প্রদেশে জাতিগত নির্মূল অভিযান চলছে` বলে যে অভিযোগ করে, তাও অস্বীকার করেছে মিয়ানমার সরকার। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইতোমধ্যে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ৪ লাখ ৮০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য আন্তর্জাতিক সাহায্য দ্বিগুণ করতে আহ্বান জানিয়েছে।

 
 

আরও খবর

Daraz
 
 
 
 
 
 
 
 
©ambalanews24.com | Developed & Maintenance by AmbalaIT