রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া ধীর হলেও সরকার লক্ষ্যে অবিচল আছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। এ লক্ষ্যে মিয়ানমার সরকারকে দেয়া রোহিঙ্গাদের প্রাথমিক তালিকার তথ্যে ঘাটতি আছে বলে জানিয়েছে দেশটি। তাই শিগগিরই তাদেরকে দ্বিতীয় দফা আরেকটি তালিকা দেয়া হবে। এছাড়া সম্প্রতি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় ইউএনএইসি আর কে অন্তর্ভুক্ত করতেও মিয়ানমার সরকার রাজি হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
গণহত্যা, নির্মমতা, নৃশংসতা সব বিশেষণই হার মানে এখানে। গত বছরের আগস্ট মাসে হামলার শুরুর পর বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা এখন সাড়ে ৭ লক্ষাধিক। তবে বিবেক নড়ে নি মিয়ানমারের। গত বছরের ২৩ নভেম্বর দেশটির রাজধানীতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী এ বছরের জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়ার কথা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া। এ নিয়ে জয়েন্ট কমিশন গঠনের পরও কাটেনি টালবাহানা। চুক্তির প্রায় ৪ মাস পর তাই নানা সংশয়। তবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দাবি, ধীরে হলেও অগ্রগতি হচ্ছে কাজের।
শাহরিয়ার আলম বলেন, শাহরিয়ার আলম বলেন, দুই এক মাস আরও বাড়তি লেগে গেছে। এটাতেও আমরা বিচলিত নই। কারণ এটা সঠিক পথে রয়েছে। আজকে ১০০ গেল নাকি ৮ হাজারের জায়গায় ২০০ গেল এটা আমাদের কাছে বড় বিষয় নয়। ১১ লক্ষের মধ্যে ৫ হাজার কেও যদি তাড়াহুড়া করে পাঠায় কন একটা সমস্যার ফলে তারা যদি আবার ফিরে আসে তাহলে এই প্রক্রিয়া বড় ধরণের বাঁধার সম্মুখীন হবে।
শুরু থেকেই বাংলাদেশ এ প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করতে চায় জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে। তবে তাতে রাজী ছিলো না মিয়ানমার সরকার। সম্প্রতি তারা সে অবস্থান থেকে সরে এসেছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, শুরুতে ৮ হাজার রোহিঙ্গা ফিরিয়ে নিতে একটি তালিকা দেয়ার পর দ্বিতীয় দফায় আরেকটি তালিকা দেয়া হবে শীঘ্রই। শাহরিয়ার আলম বলেন, 'আমরা যে তালিকা দিয়েছিলাম তারা বলেছে ঠিক আছে। বাকি গুলির ক্ষেত্রে বলেছেন তথ্যের ঘাটতি আছে। সেগুলি নিয়ে কাজ চলছে। খুব তাড়াতাড়ি দ্বিতীয় তালিকা দেয়া হবে। ইউএনএইচসাআরের দক্ষিণ এশিয়া প্রধান জানিয়েছেন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে মিয়ানমার। '
এছাড়া আগামী মে মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠেয় ওআইসির মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে ইসলামিক রাষ্ট্রগুলোর সহযোগিতা চাওয়া হবে বলেও এ বিষয়ে রাজধানীতে এক আলোচনায় সভায় জানান শাহরিয়ার আলম।