মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নির্যাতন করার জন্য দেশটির উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তাদের শায়েস্তা করতে নিষেধাজ্ঞার কথা চিন্তা করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ওয়াশিংটন, ইয়াংগন ও ইউরোপে কূটনীতিক ও সরকারী কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাতকারের পর বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর প্রধানসহ শীর্ষ জেনারেলদের উপর নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে কথাবার্তা চলছে। তবে এখনো পুরোপুরি কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন প্রসঙ্গে অং সাং সূচির ভূমিকা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। সূচি কি করতে পারতেন বা তার কি করা উচিত তা নিয়ে বিস্তর আলোচনার মাঝে রোহিঙ্গাদের উপর অত্যাচারে সেখানকার সেনাবাহিনীর ভূমিকার কথা যেন কিছুটা চাপা পরে যাচ্ছিলো। সূচি নির্বাচনে জিতলেও মিয়ানমারে এখনো বেশ প্রভাব রাখে দেশটির সেনাবাহিনী। মিয়ানমারের সংবিধানও সেনাবাহিনীর লেখা। পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে তারা ক্ষমতায় ছিল। গত এক মাসে রাখাইনের মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নিপীড়নের মুখে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়ার পর পশ্চিমা নীতিনির্ধারকেরা এখন তাদের উপর কোন ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য চাপের মুখে রয়েছেন। আগামী সপ্তাহে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাউন্সিল বিষয়টি নিয়ে আলাপ করবে। তবে এখনই কোন ধরনের শাস্তি প্রতীকী হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। রাখাইনে রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা বাড়ানোর বিষয়েও আলোচনা চলছে।