মিশরের একটি গির্জায় বিস্ফোরণে নিহত ২১ জন।
রাজধানী কায়রোর উত্তরে টানটা শহরে সেন্ট জর্জের কপটিক চার্চে রোববার ধর্মীয় অনুষ্ঠান পাম সানডে পালনের সময় এ বিস্ফোরণ হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছে কমপক্ষে ৫০ জন।
মিরশীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্রের বরাত এ তথ্য জানিয়েছে হার্টৎজ অনলাইন।
মিশরের খ্রিষ্টান সংখ্যালঘুদের ওপর সম্প্রতি যে নিপীড়ন চলছে, তার সবশেষ ঘটনা এটি। মিশনের ৯ কোটি জনগণের ১০ শতাংশ খ্রিষ্টান। বারবার ইসলামি উগ্রতাবাদীদের নিশানায় পরিণত হচ্ছে তারা।
পোপ ফ্রান্সিস কয়েক সপ্তাহ পরে মিশর সফরে যাবেন। তার সফরের আগে এ ধরনের বিস্ফোরণ বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত গির্জার ভেতরের ফুটেজ দেখিয়েছে সিবিসি। কাগজ দিয়ে ঢাকা নিথর, রক্তাক্ত মৃতদেহ ঘিরে রয়েছে মানুষ।
রক্তাক্ত এ হামলার দায় স্বীকার করেনি কোনো পক্ষ। তবে ১ এপ্রিল টানটা শহরে পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বোমা হামলার দায়ী স্বীকার করেছিল লিওয়া আল-থাউরা। এই উদ্রতাবাগী গোষ্ঠী মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে যুক্ত বলে ধারণা করা হয়। এরা সাধারণত মিশরের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়ে থাকে।
ডিসেম্বর মাসে কায়রোর প্রধান কপটিক ক্যাথেড্রালে বোমা হামলায় নিহত হন ২৫ জন। পরে এ হামলার দায় স্বীকার করে আইএস।
২০১৩ সাল থেকে অভ্যন্তরীণ হামলার শিকার হচ্ছে মিশর। ওই বছর দেশটির প্রথম গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির কাছ থেকে ক্ষমতা কেড়ে নেয় সেনাবাহিনী। তখন খ্রিষ্টান সম্প্রদায় তৎকালীন সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসিকে সমর্থন করে।