বিরল রোগে আক্রান্ত সাতক্ষীরার শিশু মুক্তামনির হাতে চামড়া লাগাতে করা অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে মুক্তামনির অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন হয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। পরে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে।
এর আগে সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের দ্বিতীয় তলায় অস্ত্রোপচারকক্ষে নেওয়া হয় মুক্তামনিকে। সেখানে সকাল পৌনে ১০টায় শুরু হয় অস্ত্রোপচার।
সকাল পৌনে ৯টার দিকে মুক্তামনিকে অস্ত্রোপচার কক্ষে নেওয়া হয় এর পর আড়াই ঘণ্টা সময় ধরে তার হাতে অস্ত্রোপচার করা হয়। আজ তার হাতের চামড়া লাগানোর কাজ ৫০ শতাংশ শেষ হয়েছে। পরবর্তী অস্ত্রোপচারের জন্য দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে।’
গত ১২ আগস্ট মুক্তামনির প্রথম অস্ত্রোপচার করা হয়। এর পর ২৯ আগস্ট ফের মুক্তামনির অস্ত্রোপচার হয়। তবে সেদিন শরীরের তাপ বেড়ে যাওয়ায় ২০ ভাগ অস্ত্রোপচারের পর তা স্থগিত করা হয়েছিল। পরে ৫ সেপ্টেম্বর বাকি অস্ত্রোপচার হয়।
মুক্তামনির বয়স যখন দেড় বছর, তখন ডান হাতে একটি টিউমারের মতো হয়। পরে তা ফুলে যেতে থাকে। পুরো ডান হাতটি ফুলে বালিশের মতো হয়ে যায়। ওই হাত থেকে দুর্গন্ধও বের হতে থাকে। রোগটি তার বুক পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।
গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হলে মুক্তামনির বিষয়টি সবার নজরে আসে। গত ১১ জুলাই মুক্তামনিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার জন্য গঠিত আট সদস্যের মেডিকেল বোর্ড জানিয়েছে, মুক্তামনি একটি বিরল রোগে আক্রান্ত। এ রোগটির নাম ‘হাইপারকেরাটোসিস’।
মুক্তামনির কাগজপত্র সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মুক্তামনির অসুখ আরোগ্যযোগ্য নয়। তবে ঢামেকের চিকিৎসকরা রোগ সারাতে সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।