সাবেক বৃটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর হামলা মামলায় মুফতি হান্নানের মৃত্যু পরোয়ানা কারাগারে পৌঁছেছে। সোমবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মুফতি হান্নানসহ তিন জঙ্গির মৃত্যু পরোয়ানা কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে পৌঁছায়।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মুফতি হান্নানসহ তিন জঙ্গির মৃত্যু পরোয়ানা আমরা হাতে পেয়েছি। সব আইনি প্রক্রিয়াগুলো শেষে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে।
হান্নান ছাড়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর দুই জন হলেন- শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল ও দেলোয়ার ওরফে রিপন।
গত বছরের ৭ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে হাই কোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে মুফতি হান্নানসহ তিন জঙ্গির আপিল শুনানির পর তা খারিজ করেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।
এর আগে ৩০ নভেম্বর এ মামলায় আপিল শুনানি শুরু হয়।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অপর দুই আসামি আপিল না করায় তাদের আগের রায়ই বহাল রয়েছে।
২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটের হজরত শাহজালালের (র.) মাজারে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়।
হামলায় আনোয়ার চৌধুরী, সিলেট জেলা প্রশাসকসহ প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত এবং পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত হন।
মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত আসামিদের মধ্যে মুফতি হান্নান, বিপুল ও রিপনকে মৃত্যুদণ্ড এবং মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন করতে প্রয়োজনীয় নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি ২০০৯ সালে আসামিরা জেল আপিলও করেন।
প্রায় সাত বছর পর গত ৬ জানুয়ারি এ মামলায় হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়। পরে বিচারিক আদালতের দণ্ড বহাল রেখে ১১ ফেব্রুয়ারি এ রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।
গত ২৮ এপ্রিল হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়। এরপর ১৪ জুন রায় হাতে পাওয়ার পর ১৪ জুলাই আপিল করেন দুই আসামি হান্নান ও বিপুল। অপর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রিপন আপিল না করলেও আপিল বিভাগ তার জন্য রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী নিয়োগ করেন। পরে রিপনের পক্ষে হেলাল উদ্দিন মোল্লা শুনানি করেন।