মেক্সিকোর দক্ষিণ উপকূলে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ৬১ জনে দাড়িয়েছে। সবেচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত তাবাসকো, ওয়াক্সাকা ও চিয়াপাসে ব্যাপক উদ্ধার তৎপরতা চলছে, যেখানে লোকজন পাথরকচির নিচে আটকা পড়েছে।
প্রেসিডেন্ট এনরিক পেনা নিয়েতো বলেছেন, অন্তত ২০০ লোক আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধারে ব্যাপক উদ্ধারাভিযান চলছে।
মেক্সিকান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাবাসকো, ওয়াক্সাকা ও চিয়াপাস রাজ্যে বহু মানুষ ভূমিকম্পের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকতে পারে। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
বৃহস্পতিবারের এ ভূমিকম্প ছিল এক শতাব্দীর মধ্যে মেক্সিকোর সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। রিখটার স্কেলে ৮ দশমিক ১ মাত্রার এই ভূমিকম্প মেক্সিকোর সীমানা ছাড়িয়ে প্রতিবেশী কিছু দেশে অনুভূত হয়েছে।
ভূমিকম্পে নিহত ও নিখোঁজদের জন্য শনিবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট নিয়েতো। এ দিন দেশটির জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে ওয়াক্সাকা রাজ্যে ৪৫ জন, চিয়াপাস রাজ্যে ১২ জন এবং তাবাসকো রাজ্যে ৪ জন মারা গেছেন। সবচেয়ে বেশি ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে ওয়াক্সাকা রাজ্যের জুচিতান শহরে। টাউন হলসহ অধিকাংশ ভবন গুঁড়িয়ে গেছে অথবা বাজেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উচ্চমাত্রার এই ভূমিকম্প হওয়ার পর মেক্সিকো উপকূলীয় অঞ্চল ও আশপাশের সাতটি দেশে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। শুক্রবারজুড়ে দেশটিতে অনেকবার পরাঘাত (আফটার শক) অনুভূত হয়।
১৯৮৫ সালে মেক্সিকোয় ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়। সেবারের চেয়ে এবারের ভূমিকম্পের তীব্রতা বেশি কিন্তু প্রাণহানির সংখ্যা কম; কারণ-অপেক্ষাকৃত কম জনবহুল অঞ্চলে ছিল ভূমিকম্পের কেন্দ্র।
তথ্যসূত্র : বিবিসি অনলাইন