দায়িত্ব নেওয়ার চার দিনের মাথায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করে তাকে যুক্তরাষ্ট্র সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষায় ভারত-যুক্তরাষ্ট্র অংশীদারিত্ব আরও এগিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে দুই নেতার মধ্যে আলোচনা হয় বলে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়।
আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ ঠেকাতে ‘কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে’ লড়াইয়ে থাকার অঙ্গীকারের কথাও তারা বলেন।
হোয়াইট হাউজ বলেছে, প্রধানমন্ত্রী মোদী এ বছরই যুক্তরাষ্ট্র সফর করতে পারেন বলে আশা করছে তারা।
আর মোদী ওই টেলি আলাপনের বিষয়ে জানিয়েছেন তিনটি টুইটে। ট্রাম্পকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানানোর কথাও সেখানে লিখেছেন তিনি।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, বুধবার দিল্লির স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১ টায় ট্রাম্পের ফোন পান মোদী। ওয়াশিংটনে তখন দুপুর ১টা। মোদী হলেন পঞ্চম বিশ্ব নেতা যার সঙ্গে দায়িত্ব নেওয়ার পর টেলিফোনে কথা বললেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট
বিগত বারাক ওবামার প্রশাসনের সময় ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নতুন মাত্রা পায়। বিভিন্ন সময়ে মোদীর প্রশংসা করেছেন বারাক ওবামা।
নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও তার ভোটের প্রচারের সময় ভারতের বিষয়ে ইতিবাচক থাকার ইংগিত দেন। ভারতের প্রশাসনিক সংস্কার ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য সে সময় মোদীর প্রশংসা করেন তিনি।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, গত নভেম্বরের নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর প্রথম যে বিশ্ব নেতারা তাকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন, মোদী তাদের একজন। বেশ কয়েকটি টুইট করে মোদী বলেছেন, ট্রাম্প সরকারের সঙ্গে কাজ করতে কতটা আগ্রহী।
অবশ্য ট্রাম্পের ‘বাই আমেরিকান, হায়ার আমেরিকান’ নীতি এবং এইচ-ওয়ানবি ভিসায় কড়াকড়ির পরিকল্পনা নিয়ে ভারতের আইটি শিল্পে অস্বস্তি কাজ করছে।
ভারতের ১০৮ বিলিয়ন ডলারের আইটি খাতের অর্ধেকের বেশি আয় আসে যুক্তরাষ্ট্রের বাজার থেকে। প্রতি বছর হাজার হাজার ভারতীয় এইচ-ওয়ানবি ভিসা নিয়ে কাজ করতে যুক্তরাষ্ট্রে যান।
ওই ভিসার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো বিভিন্ন দেশ থেকে সস্তায় দক্ষ কর্মী সংগ্রহ করে এলেও ট্রাম্প এর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন।