সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খান, তাঁর স্ত্রী নাসরিন খান ও ছেলে ফয়সাল মোরশেদ খানের অর্থ পাচার মামলায় পুনর্তদন্ত করতে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
এই আদেশের ফলে মামলার পুনর্তদন্ত চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন মোরশেদ খানের আইনজীবী আহসানুল করীম।
আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসাইন হায়দার।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। মোরশেদ খানের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ ও আহসানুল করীম।
এর আগে গত মঙ্গলবার শুনানি শেষে আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। সেদিন মোরশেদ খানের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্ট মামলাটি পুনর্তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর বিরুদ্ধে মোরশেদ খান লিভ টু আপিল করেছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, অর্থ পাচারের অভিযোগে ২০১৩ সালে মোরশেদ খান, তাঁর স্ত্রী, ছেলেসহ তিনজনের নামে একটি মামলা হয়। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তাঁদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ ছিল।
এ মামলায় ২০১৫ সালে দুদক চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। এরপর আদালত তাঁদের অব্যাহতি দিলে মোরশেদ খানসহ তিনজনের অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া হয়।
আদালতের অব্যাহতি আদেশের পর ঢাকার বিশেষ আদালতে দুদকের পক্ষ থেকে নারাজি আবেদন করা হলে সেটি খারিজ হয়ে যায়। বিচারিক আদালতের এ খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে দুদক হাইকোর্টে একটি রিভিশন আবেদন করে।
এ আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০১৬ সালের ৫ জুন ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ দিয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
১ সেপ্টেম্বর এ রুলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট ৯ নভেম্বর রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করেন। ২০১৬ সালের ৯ নভেম্বরের রায়ে মামলাটি পুনর্তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।