উত্তরবঙ্গে যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ ও জামালপুরের বন্যা পরিস্থিতির সঙ্গে সিরাজগঞ্জের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতিরও অবনতি হয়েছে। জেলা সদর, কাজিপুর, চৌহালী, বেলকুচি, শাহজাহাদপুর ও এনায়েতপুরের নিচু চরাঞ্চল গুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। যমুনা নদীর পানি বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে। নদী ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে। শুক্রবার (০৭ জুলাই) রাতে চৌহালী উপজেলা সদর রক্ষা বাধের আজিমুদ্দি অংশে প্রায় ৪০ মিটার ধসে গেছে। পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার নোয়ারপাড়া, চিনাডুলী, বেলগাছা, পাথর্শী ও কুলকান্দি এবং দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চুকাইবাড়ি ও চিকাজানী ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানি বন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ২০ হাজার মানুষ। পানির তোড়ে নোয়াপাড়া সড়কে বাঁধের একাংশ ভেঙ্গে গেছে। ভেঙ্গে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। দুর্গত এলাকায় বেড়েছে দুর্ভোগ।