রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ভবনের ছাদ থেকে পড়ে হৃদয় খান (১৬) নামের এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। গতকাল সোমবার ধলপুরে এ ঘটনা ঘটে।
রাত ৯টার দিকে হৃদয়কে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এর পর সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত হৃদয়ের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর সদর উপজেলার পশ্চিম পেয়ারকুল গ্রামে। তাঁর বাবার নাম মো. আলম। তারা যাত্রাবাড়ীর ধলপুর সুতিখালপাড় বাদল সরকারের গলিতে ভাড়া থাকত। হৃদয় গ্রেট ওয়াল স্কুল থেকে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে।
হৃদয়কে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিল তার বন্ধু শুভ। সে জানায়, সন্ধ্যার পর বন্ধুরা মিলে খালেকুজ্জামান স্কুল গলির জসিম উদ্দিনের ছয়তলা নির্মাণাধীন বাসার ছাদে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিল। এ সময় সিগারেট খেয়ে পাশের বাসার এক নারীর শরীর লক্ষ্য করে ছোড়ে হৃদয়। পরে ওই নারী তাকে গালমন্দ করতে থাকেন। একপর্যায়ে হৃদয়কে ধরার জন্য নির্মাণাধীন ভবনে লোক পাঠান তিনি। এ সময় দৌড়ে ওই বাসার ছাদ থেকে অন্য বাসার ছাদে লাফিয়ে যাওয়ার সময় নিচে পড়ে যায় হৃদয়। এতে সে গুরুতর আহত হয়।
অন্যদিকে, রাজধানীর কদমতলী জুরাইনে সড়ক দুর্ঘটনায় হাফিজুর রহমান (৬০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে।
পথচারী মোহাম্মদ হাসান জানান, সন্ধ্যায় কদমতলী জুরাইন বউবাজারের রাস্তায় আহত অবস্থায় পড়েছিলেন হাফিজুর। পরে তাঁকে হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাঁকেও মৃত ঘোষণা করেন। তাঁদের ধারণা, কোনো যানবাহনের ধাক্কায়ই তিনি নিহত হয়েছেন।
নিহতের শ্যালক মো. আলম জানান, হাফিজুরের গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা সদর উপজেলার পূর্ব কুমরনই গ্রামে। পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন তিনি। হাফিজুর পরিবার নিয়ে নামা শ্যামপুর মাদবর বাজার এলাকাতে থাকতেন।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া জানান, ময়না তদন্তের জন্য দুটি লাশই মর্গে রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট থানায় বিষয়টি জানানো হয়েছে।