নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটির চিঠি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়। সেখান থেকে একটি সারসংক্ষেপ আকারে তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর সেটি আবার রাষ্ট্রপতির কছে যাবে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর ওই বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একটি সূত্র জানায়, সার্চ কমিটির নেতৃত্বে থাকছেন আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি। কমিটির সদস্য হিসেবে এখন পর্যন্ত যাঁরা হচ্ছেন বলে শোনা যাচ্ছে, তাঁরা হলেন সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) মাসুদ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য শিরীণ আখতার। এ ছাড়া সার্চ কমিটিতে হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতি থাকছেন। ওই দুজন বিচারপতির নাম প্রধান বিচারপতি ঠিক করবেন।
জানতে চাইলে শিরীণ আখতার প্রথম আলোকে বলেন, কিছুক্ষণ আগে খবরটা পেলাম আশা করি, সুষ্ঠুভাবে এ দায়িত্ব পালন করতে পারব।
সার্চ কমিটি গঠনসংক্রান্ত গেজেট আজকালের মধ্যেই হবে বলেও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানা গেছে।
নতুন কমিশন গঠন নিয়ে গত ১৮ ডিসেম্বর থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ মোট ৩১টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি আলোচনা করেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সূত্র জানায়, রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক দলগুলোর দেওয়া প্রস্তাবগুলো যাচাই-বাছাই করে সার্চ কমিটি করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন। ওই সূত্র আরও জানায়, সময়ের অভাবে এবার নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়ন বা অধ্যাদেশ জারি করছেন না রাষ্ট্রপতি।
এর আগে ২০১২ সালের ২৩ জানুয়ারি তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে প্রধান করে চার সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করেছিলেন।
একজন কমিশনার বাদে বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্য নির্বাচন কমিশনারদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি।