বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Smoking
 
রংপুরে নিখোঁজ আইনজীবীর লাশ উদ্ধার, স্ত্রী ও প্রেমিক আটক
প্রকাশ: ০৯:২১ am ০৪-০৪-২০১৮ হালনাগাদ: ০৯:৩০ am ০৪-০৪-২০১৮
 
 
 


রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের পিপি রথীশ চন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনার লাশ উদ্ধার করেছে র‌্যাব।

মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে নগরীর মাহিগঞ্জ মোল্লাপাড়া এলাকার একটি নির্মাণাধীন বাড়ির মাটির নিচ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন রংপুর র‌্যাব-১৩ এর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক আরমিন রাব্বী। বাবু সোনা পাঁচ দিন আগে নিখোঁজ হয়েছিলেন।

আরমিন রাব্বী জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাবু সোনার স্ত্রী দীপা ভৌমিককে আটক করে র‌্যাবের একটি দল। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ওই এলাকার কামরুল নামের এক শিক্ষকের বড় ভাইয়ের নির্মাণাধীন বাড়ির মাটির নিচ থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে লাশ শনাক্তের জন্য বাবু সোনার ছোট ভাই সুশান্ত ভৌমিক সুবল ও স্ত্রী দীপাকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা গিয়ে বাবু সোনাকে শনাক্ত করেন।

বাবু সোনা মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজাহারুল ইসলামের মামলার সাক্ষী ছিলেন। চাঞ্চল্যকর জাপানি নাগরিক হোশে কুনিও এবং মাজারের খাদেম রহমত আলী হত্যাকাণ্ডের রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী ছিলেন তিনি। এ ছাড়াও রংপুর আইনজীবী সমিতির নির্বাচিত সহসাধারণ সম্পাদক, জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের রংপুর বিভাগের ট্রাস্ট্রি, পূজা উদযাপন পরিষদের রংপুর জেলার সভাপতি ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

জানা গেছে, সোমবার তাজহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কামরুল ইসলাম ও মতিয়ার রহমানকে আটকের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তে ভিন্ন মাত্রা পায়। সোমবার কামরুল ও মতিয়ারকে আটক করা হলেও তখন কিছু জানায়নি পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাদের আটকের কথা স্বীকার করেন কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাবুল মিঞা।

দীপা ভৌমিক তাজহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক কামরুল ইসলামের সঙ্গে দীপার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে এলাকায় গুঞ্জন ওঠে। পরকীয়া সম্পর্কের জেরে কামরুল ও দীপা পরিকল্পিতভাবে বাবু সোনাকে হত্যার পর তার লাশ মাটির নিচে পুঁতে রেখেছেন বলে আশঙ্কা করা হয়।

কামরুল ইসলামের পৈত্রিক নিবাস হচ্ছে তাজহাট মোল্লাপাড়া। তিনি পরিবার নিয়ে নগরীর রাধাবল্লভ এলাকায় বসবাস করলেও মোল্লাপাড়ার বাড়িতেও নিয়মিত যাতায়াত করতেন।

শুক্রবার সকাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন বাবু সোনা। ওই দিন তার স্ত্রী বলেছিলেন, ‘বাবু সোনা সকাল ৬টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে চলে যান। কোথায় গিয়েছেন সে বিষয়ে বাড়িতে কাউকে কিছু বলেননি। বাবু সোনাকে উদ্ধারের দাবিতে গত কয়েকদিন থেকে রংপুরে বিভিন্ন সংগঠন মানববন্ধন, সমাবেশ, অনশনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছিল।

 
 

আরও খবর

Daraz
 
 
 
 
 
 
 
 
©ambalanews24.com | Developed & Maintenance by AmbalaIT