দুরারোগ্য রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করতে জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবেকে শুভেচ্ছাদূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
সংস্থাটির নবনিযুক্ত প্রধান ড. টেডরোস আধানোম গেবরেয়েসুস মুগাবেকে নিয়োগ দেন।
টেডরোস গণস্বাস্থ্যে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকার জন্য জিম্বাবুয়ের প্রশংসা করেন।
বিবিসির খবরে বলা হয়, ডব্লিউএইচওকে দূত হিসেবে মুগাবে নিয়োগ পেলেও তাঁর দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সমালোচকরা। তাঁদের মতে, মুগাবের ৩৭ বছরের শাসনামলে স্বাস্থ্যসেবার মানের অবনতি হয়েছে। এ ছাড়া দেশটির হাসপাতালগুলোতে কর্মচারীরা ঠিকমতো বেতন পান না, রয়েছে ওষুধেরও সংকট।
ইথিওপিয়ার নাগরিক টেডরোস প্রথম আফ্রিকান হিসেবে ডব্লিউএইচওর প্রধান হয়েছেন। সংস্থাটিতে দৃশ্যমান রাজনীতিকীকরণ বন্ধে তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে এই সংস্থার প্রধান ছিলেন মার্গারেট চ্যান। তিনি ১০ বছর দায়িত্ব পালন করে জুনে পদত্যাগ করেছেন।
৯৩ বছর বয়সী মুগাবের দূত হওয়া নিয়ে বিবিসির বিশ্লেষণে বলা হয়, এই নিয়োগ ডব্লিউএইচওর সদস্য রাষ্ট্র ও দাতার মধ্যে বিস্ময় তৈরি করবে।
শুভেচ্ছাদূত বৃহদার্থে প্রতীকী একটি পদ। কিন্তু সেই প্রতীকী পদটি এমন একজনকে দেওয়া হয়েছে, যাঁর ক্ষমতায় চলা জিম্বাবুয়ে স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক ধস নেমেছে। এ ছাড়া গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও পাওয়া গেছে।