রোববার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ যে ভাষণ দেবেন তাতে কি সংলাপ পরবর্তী সমাধানের কোন ইঙ্গিত থাকবে?
রীতি অনুযায়ী বছরের প্রথম সংসদ অধিবেশন শুরুর দিনে ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি। এরইমধ্যে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন বিষয়ে সবগুলো দলের সঙ্গে সংলাপ করেছেন তিনি। রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা তাই ধারণা করছেন, রাষ্ট্রপতির ভাষণে নির্বাচন কমিশন গঠন বিষয়ে কোন ইঙ্গিত থাকতে পারে। তাই আশার আলোও দেখছেন তারা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. অরুণ কুমার গোস্বামী চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, যেহেতু সবগুলো দলের সঙ্গে তিনি আলোচনা করেছেন এখন তাই নিশ্চয়ই তিনি একটি সমাধান সিদ্ধান্তে আসবেন। তিনি সবগুলো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং শেষ পর্যন্ত তিনিই সিদ্ধান্ত নিবেন।
রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে যে আলোচনার তাগিদ রাষ্ট্রপতি দিয়েছেন সেটাও চূড়ান্ত কিছু নয় বলে মনে করেন এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী। তিনি বলেন, প্রাসঙ্গিকভাবেই রাষ্ট্রপতি এর মধ্য দিয়ে সবাইকে মানসিক প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলেছেন যেন তিনি যে সিদ্ধান্ত দেবেন তা সবাই মেনে নেন। এবারের ভাষণে সেই বিষয়ে নিশ্চয়ই দিকনির্দেশনা থাকবে বলে আশা করা যায়।
একইরকম কথা বলছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল কাসেম। চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি বলেন, নির্বানের অনেক দেরি আছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন গঠনে বেশি সময় হাতে নেই। এই সময়ে রাষ্ট্রপতির ভাষণে একটি দিকনির্দেশনা ও ইঙ্গিত থাকবে বলে আশা করা যায়।
রাষ্ট্রপতি এরইমধ্যে সবগুলো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন: এখন তার সামনে সবগুলো রাজনৈতিক দলের মতামত আছে যা আর কারো কাছে নাই। তাই দেশের একজন সিনিয়র সিটিজেন হিসেবে তিনি ভাষণে সেই বিষয়গুলো নিয়েই দিকনির্দেশনা দিবেন বলে আশা করা যায়। তারপরও যদি রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে কোনো সমাধান নিয়ে আসতে পারে সেটা ভালো।
‘তবে অতীতে এ ধরনের আলোচনাগুলো ব্যর্থ হয়েছে। ফলে এবার রাষ্ট্রপতির দিকনির্দেশনার অপেক্ষা করছেন অনেকে।’