টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে কলেজছাত্রী জাকিয়া সুলতানা রূপাকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলার রায় আজ সোমবার ঘোষণা করা হবে।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া চাঞ্চল্যকর এই মামলার রায়ের দিন ধার্য করেন।
এর আগে ৪ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হয়। ৫ ফেব্রুয়ারি ছিল উভয়পক্ষের যুক্তিতর্কের সমর্থনে আইন দাখিলের দিন। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক রায়ের দিন ধার্য করেন।
গত ৩ জানুয়ারি মামলার বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। পরে মামলায় জব্দ তালিকা, সুরতহাল রিপোর্ট, চিকিৎসক, পাঁচ আসামির ১৬৪ ধারার জবানবন্দি গ্রহণকারী চারজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ ২৭ জনের ২৩ জানুয়ারি আদালতে সাক্ষ্য ও জেরা সমাপ্ত হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি এ কে এম নাছিমুল আখতার জানান, মামলায় বাদীসহ ২৭ জন সাক্ষ্য-প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রার্থনা করেছেন তিনি।
আসামিপক্ষের আইনজীবী শামীম চৌধুরী দয়াল বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষ্যপ্রমাণে অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই তিনি আশা করছেন, আদালত আসামিদের বেকসুর খালাস দেবেন।
গত ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রূপাকে চলন্ত বাসে পরিবহণ শ্রমিকরা ধর্ষণ করেন এবং বাসেই তাকে হত্যার পর মধুপুর উপজেলায় পঁচিশ মাইল এলাকায় বনের মধ্যে লাশ ফেলে রেখে যায়। এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ রাতে লাশ উদ্ধার করে। পর দিন ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মধুপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। পত্রিকায় প্রকাশিত ছবি দেখে রূপার ভাই হাফিজুর রহমান মধুপুর থানায় গিয়ে ছবিরভিত্তিতে বোনকে শনাক্ত করেন।
গত ২৮ আগস্ট এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ময়মনসিংহ-বগুড়া রুটের ছোঁয়া পরিবহণের হেলপার শামীম (২৬), আকরাম (৩৫), জাহাঙ্গীর (১৯), চালক হাবিবুর (৪৫) ও সুপারভাইজার সফর আলীকে (৫৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।