রাজধানী ঢাকায় বনানীর রেইনট্রি হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ মো. আদনান হারুন শুল্ক গোয়েন্দা কার্যালয়ে হাজির হয়েছেন।
মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে কাকরাইলে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত বিভাগের সদর দপ্তরে হাজির হন তিনি। বেলা ১১টায় তার জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। অবৈধভাবে মদ রাখা ও শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে তাকে তলব করে সংস্থাটি।
এর আগে সোমবার দ্য রেইনট্রি হোটেল কর্তৃপক্ষকে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের দেওয়া নোটিশের কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করলে তা মঞ্জুর করেন আদালত। পরে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই আদেশ ৬ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন আদালত।
গত ১৫ মে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দ্য রেইনট্রি হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ মো. আদনান হারুনকে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরে হাজির হয়ে তার হোটেলে পাওয়া মদের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশে তাকে ১৭ মে হাজির হতে বলা হয়। এরপর আদনান হারুনের পক্ষে এক মাসের সময় আবেদন করেন তার আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন। আবেদন বিবেচনা করে ২৩ মে তাকে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের সদর দপ্তরে হাজির হতে বলা হয়।
মার্চ মাসে একটি ধর্ষণের ঘটনা তদন্তের ধারাবাহিকতায় ১৪ মে রেইনট্রি হোটেলে অভিযান চালায় শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। অভিযানে ১০ বোতল মদ উদ্ধার করা হয়। তবে মদ সংরক্ষণ বা বিক্রয়ের অনুমতিপত্র নেয়নি রেইনট্রি হোটেল কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ মার্চ বনানীর দ্য রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া দুই ছাত্রী অভিযোগ করেছেন। ওই ঘটনায় গত ৬ মে রাজধানীর বনানী থানায় সাফাত আহমেদ, নাঈম আশরাফ ও সাদমান সাকিফসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তারা। এরপর আলোচনায় আসে দ্য রেইনট্রি হোটেল।