চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং-এর গত বছর বাংলাদেশ সফরকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সম্পাদিত যৌথ ইশতেহারে ২০১৭ সালকে বাংলাদেশ ও চীনের বন্ধুত্ব ও বিনিময়ের বছর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশ ও চীন সরকারের যৌথ উদ্যোগে বিভিন্ন কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের মাধ্যমে বছরটি উদ্যাপন করা হবে।
এ কার্যক্রমের প্রথম সাংস্কৃতিক কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে আগামী রোববার। যার অংশ হিসেবে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে আসছে ৩৫ সদস্যের চীনা দলটি। এ দলটি আগামীকাল রবিবার ও সোমবার পর পর দুই দিন রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে পরিবেশনায় অংশ নেবে। তাদের পরিবেশনার মধ্য থাকবে অ্যাক্রোবেটিক শো, কুংফু, নাচ ও গান। এর সঙ্গে শিল্পকলা একাডেমির একটি দলও পরিবেশনা করবে। সে সঙ্গে বাংলাদেশিরা শিল্পীরা চীনা ভাষায় সংগীত পরিবেশন করবেন। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
গতকাল শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সকল তথ্য জানান সংস্কৃতিসচিব আক্তারী মমতাজ। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, ঢাকার চীনা দূ-তাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স তাং সিচাও এবং বাংলাদেশ-চীন ফ্রেন্ডশিপ সেন্টারের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন।
সংস্কৃতিসচিব জানান, শিগগিরই বাংলাদেশের একটি সাংস্কৃতিক প্রতিনিধিদল চীন সফর করবে। এ ছাড়া সাংবাৎসরিক কর্মসূচিতে সংস্কৃতির বিভিন্ন শাখায় প্রশিক্ষণ, বিশেষজ্ঞ বিনিময়, অনুবাদ গ্রন্থ প্রকাশ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন এবং কারিগরি সহায়তা ইত্যাদি প্রাধান্য পাবে। এ বিনিময় উভয় দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার এবং উভয় দেশের জনগণের মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতা ও ব্যক্তি পর্যায়ে সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।