র্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল কালাম আজাদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে বনানীর সামরিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে বাদ জুমা ঢাকা সেনানিবাসের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে আবুল কালাম আজাদের প্রথম জানাজা এবং বিকেল ৩টায় র্যাব সদর দপ্তরে দ্বিতীয় জানাজা হয়।
র্যাব সদর দপ্তরের জানাজায় উপস্থিত ছিলেন- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও নিহতের পরিবারের সদস্যগণ।
জানাজা শেষে তারা আবুল কালাম আজাদের মরদেহে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর র্যাব সদস্যরা তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন।
সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আবুল কালাম আজাদের মরদেহ সেখানে কিছুক্ষণ রাখা হয়। পরে একটি লাশবাহী গাড়িতে করে লাশ বনানীর সামরিক কবরস্থানে পাঠানো হয়। সেখানে বিকেল ৫টার দিকে দাফন করা হয়।
আবুল কালাম আজাদ ১৯৭৫ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে মাস্টার্স শেষ করে ১৯৯৬ সালে ৩৪তম বিএমএ লং কোর্স শেষ করেন। ২০১১ সালে পুলিশের বিশেষ ফোর্স র্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পান। ওই বছরই তাকে পদোন্নতি দিয়ে গোয়েন্দা বিভাগের উপ-পরিচালক করা হয়। ২০১৩ সালে তিনি পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি পান।
স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন আবুল কালাম আজাদ।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার কিছু পর ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল কালাম আজাদ।
২৫ মার্চ শনিবার সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ী এলাকায় জঙ্গিবিরোধী অভিযানে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন তিনি। প্রথমে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরের দিন তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহত হওয়ার পর থেকে তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকের পরামর্শে এবং পরিবারের ইচ্ছা অনুযায়ী বুধবার তাকে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে দেশে ফেরত আনা হয়।