এর পরপরই ৪০টি ফায়ার ইঞ্জিন নিয়ে প্রায় ২০০ দমকল কর্মী আগুন নেভানোর চেষ্টা শুরু করেন। এর তিন ঘণ্টা পরেও ওই ভবন থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, উত্তর কেনসিংটনের গ্রেনফেল টাওয়ারে মানুষ আটকা পড়ে আছে। সাহায্যের জন্য চিৎকার করছে।
দমকলকর্মীরা ৬৫ জনকে উদ্ধার করেছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, এখনও বহু মানুষের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ভবনটিতে আগুন জ্বলছে এবং এটি ধসে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এক সংবাদ সম্মেলনে লন্ডন দমকলের কমিশনার ড্যানি কটন বলেন, “এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা। দমকল কর্মী হিসেবে আমার ২৯ বছরের অভিজ্ঞতায় এ ধরনের ব্যাপক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা আমি আর দেখিনি।”
আগুন লাগার কারণ উদঘাটন করা যায়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি। মধ্যরাতের পর ভবনটিতে আগুন লাগার সময় সেখানে কয়েকশ’ মানুষ ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের বেশির ভাগই ঘুমাচ্ছিল।
মেট্রোপলিটন পুলিশ কমান্ডার স্টুয়ার্ট কান্ডি বলেছেন, তিনি এখন পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হয়েছেন। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
এম্বুলেন্স সার্ভিস জানায়, আহত ৬৯ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৮ জনের অবস্থা গুরুতর।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আসা ছবি ও ভিডিওতে নিচ থেকে পুরো ভবনটিই জ্বলতে দেখা গেছে।
অগ্নিকাণ্ডের পর কঙ্কাল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে গ্রিনফেল টাওয়ার- ছবি: রয়টার্স
“ভবনটি ভেঙে পড়তে পারে এই আশঙ্কায় পুলিশ আশপাশ থেকে সবাইকে সরিয়ে দিচ্ছে।”
চ্যানেল ফোরের উপস্থাপক জর্জ ক্লার্ক বিবিসি’কে বলেছেন, ভবনটি থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে দাঁড়ানো অবস্থাতেও তার মনে হচ্ছিল তিনি হয়ত ছাইয়ে ঢাকা পড়ে যাবেন।
ক্লার্ক জানান, ভবনে আটকা পড়া একজনকে তিনি ওপর থেকে টর্চের আলো দিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করতেও দেখেছেন।
টিম ডাউনি নামের আরেক প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসি’কে বলেছেন, ভবনটির একটি অংশ পুড়ে শেষ হয়ে গেছে।
“অবস্থা খুব খারাপ, খুব খারাপ। এরকম অবস্থা আমি আগে কখনও দেখিনি।”