লন্ডনের গ্রেনফেল টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখনো নিখোঁজ ৫৮ জন। ধরে নেওয়া হচ্ছে, তারা কেউ বেঁচে নেই।
তবে এত দেরিতে নিখোঁজ ও মৃতদের সংখ্যা প্রকাশ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
শনিবার লন্ডন পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে। খবর বিবিসি অনলাইনের।
সবশেষ প্রকাশিত পুলিশের এই তথ্যে আগেই নিশ্চিত করা মৃত ৩০ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ বুধবার পশ্চিম লন্ডনের টাওয়ার ব্লকে গ্রেনফেল টাওয়ারের আগুনে ৩০ জনসহ মোট ৫৮ জন মারা গেছেন বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।
কমান্ডার স্টুয়ার্ট কান্ডি বলেছেন, মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে এবং ব্যাপক এ উদ্ধারাভিযান শেষ হতে কয়েক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে। তিনি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব আমরা প্রিয়জনদের শনাক্ত করে উদ্ধার করব।
তবে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, তাদের অনুমান এ ঘটনায় ৭০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। কমান্ডার কান্ডি জানিয়েছেন, নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে শুক্রবার উদ্ধারাভিযান স্থগিত রাখা হয়। তবে আবার তা শুরু হয়েছে।
ভবনে অগ্নিকাণ্ডসহ সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাজ্যে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনার প্রতিফলন ঘটেছে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের এবারের জন্মদিনের বার্তায়।
এদিকে, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য দেওয়া ত্রাণ নিয়ে তালগোল পাঁকানোয় নিন্দা জানিয়েছেন বাসিন্দারা। কেউ কেউ বলেছেন, ত্রাণ তৎপরতার সঙ্গে কেনসিংটন ও চেলসি কাউন্সিলের যুক্ত হওয়ার দরকার নেই।
লন্ডন অগ্নিকাণ্ড নিয়ে এখন লন্ডনবাসীদের মধ্যে অনেক প্রশ্ন। ক্ষোভের উত্তাপ বইয়ে যুক্তরাজ্যজুড়ে। এত বড় দুর্ঘটনা হলো কীভাবে- প্রশ্ন উঠেছে জনমনে। কেউ কেউ দাবি করেছেন, ভবন নির্মাণে দুর্নীতি করা হয়েছে। কেউ অভিযোগ করেছেন, টাওয়ার নির্মাণে বিল্ডিংকোড মানা হয়নি। আবার কারো অভিযোগ, বাজেট ছাঁটার কারণে যেনতেনভাবে ভবনিটি নির্মাণ করা হয়েছে।
এতসব অভিযোগের মধ্যে বিক্ষোভরত মানুষের সঙ্গে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে সরাসরি কথা বলতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। শনিবার ভুক্তভোগী পরিবারের স্বজন ও সদস্যদের ডেকেছেন মে।