সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি পাওয়ার কথা বুধবার রাতে নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা মাহবুবে আলম।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “দুই দিন আগে রায়ের সার্টিফাইড কপি (সত্যায়িত অনুলিপি) আমরা পেয়েছি। এখন পর্যালোচনা চলছে। সরকারের সিদ্ধান্ত এলেই যথাসময়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”
বহুল আলোচনার মধ্যে এই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য (রিভিউ) আবেদন করার কথা সংসদে জানিয়েছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সত্যায়িত অনুলিপি পাওয়ার পর রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।
আইন অনুযায়ী, রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি পাওয়া একমাসের মধ্যে পুনর্বিবেচনার আবেদন করতে হবে।
গত ১ অগাস্ট পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর ১৬ অগাস্ট ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক টুটুল সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, তারা রায়ের ‘সার্টিফাইড কপি’ চেয়ে আবেদন করেছেন।
বিচারপতি অপসারণ ক্ষমতা সংসদের হাতে ন্যস্ত করে আনা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী ‘অবৈধ’ ঘোষণা করে হাই কোর্টের রায় বহাল রেখে গত ৩ জুলাই রায় দেয় আপিল বিভাগ।
এর মধ্যদিয়ে সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের ছয়টি ধারা পুনর্বহাল হয়। ফলে সামরিক সরকার আমলে করা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধান আবার ফিরে সংবিধানে।
গত ১ অগাস্ট পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা এর তীব্র সমালোচনা শুরু করেন। রায়ের পর্যবেক্ষণ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা।
তুমুল আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে গত ১৩ সেপ্টেম্বর সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় এবং তার কিছু পর্যবেক্ষণের বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নিতে জাতীয় সংসদে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।
এর মধ্যে গত ৩ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি সিনহার এক মাসের ছুটিতে যাওয়ার খবর প্রকাশ হয়। তা নিয়েও রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
এই আলোচনার মধ্যেই রিভিউ আবেদনের জন্য রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি নিল রাষ্ট্রপক্ষ।
আইনমন্ত্রী সংসদে বলেছিলেন, রিভিউ আবেদনে ‘কামিয়াব’ হবেন বলে তিনি আশাবাদী।