সাগর সরওয়ারের মা সালেহা মনির বলেন, আমিতো সব কিছুই হারিয়েছি। এখন যদি বিচারটুকুও না পাই তবে কিসের আইন? সরকার যদি ইচ্ছে করে তবেই এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার হয়।
তবে একদিন না একদিন সাগর-রুনি হত্যার বিচার হবে, হয়তো সেদিন আমি থাকবো না –হতাশা নিয়ে বলেন সাগরের মা।
মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে হতাশা প্রকাশ করেন মেহেরুন রুনির ভাই নওশের আলম রোমানও। তিনি বলেন, র্যাব তদন্ত শেষ করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে পারবে কিনা, তা আমরা জানি না। মামলার আলামত (ল্যাপটপ, ক্যামেরা ও মোবাইল) নষ্ট হয়ে গেছে।
রোমান বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত সঠিক পথে নেই। এ কারণেই চার্জশিট জমা দিতে সময়ক্ষেপণ করছে বলে আমার মনে হচ্ছে।
‘সাগর-রুনির বাসার পলাতক দারোয়ান এনামুল হক ওরফে হুমায়ুনকে গ্রেফতারের বিষয়ে ১০ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়। এর বছরখানেক পর সাগর-রুনির বাসার দারোয়ান এনামুলকে গ্রেফতার করা হলেও হত্যাকাণ্ডের রহস্যজট খোলেনি। ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত আসামীরা। মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালত থেকে ৫৩ বার সময় নিয়েছেন।
র্যাবের তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিনিয়ত মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে আদালতে ঘটনার আপডেট জানাতে কাজ করছেন। সর্বশেষ গত ১ ফেব্রুয়ারি মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন তদন্ত সংস্থা র্যাব প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এজন্য ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম মাহমুদা আক্তার প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী তারিখ আগামী ১৩ মার্চ ধার্য করেন।