নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত সাত খুন মামলায় নূর হোসেন, র্যাবের প্রাক্তন তিন কর্মকর্তা লে. কর্নেল তারেক সাঈদ, লে. কমান্ডার এম এম রানা ও মেজর আরিফসহ ২৬ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
৩৫ আসামির মধ্যে বাকি নয় আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ এনায়েত হোসেন এ আদেশ দেন।
এর আগে সাত খুন মামলার ২৩ আসামিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে হাজির করা হয়।
পাবলিক প্রসিকিউটর এস এম ওয়াজেদ আলী খোকন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ আদালতে একটি মামলায় হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লা খান সাহেব স্টেডিয়ামসংলগ্ন লামাপাড়া এলাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীর বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া শান্তিনগর এলাকায় লাশ ভেসে উঠলে অপহৃত সাতজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে জনতা, সুশীল সমাজ ও আইনজীবীরা। তারা দফায় দফায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে। এই ঘটনায় নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ও নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, নূর হোসেনের পরিকল্পনায় মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে র্যাবের প্রাক্তন তিন কর্মকর্তা লে. কর্নেল তারেক সাঈদ, লে. কমান্ডার এম এম রানা ও মেজর আরিফের সম্পৃক্ততায় এ ন্যক্কারজনক হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়।
এই ঘটনায় হাইকোর্টের নির্দেশে র্যাবের প্রাক্তন তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী একে একে ২৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।