রাজধানীর বনানীতে ধর্ষণ মামলার আসামি সাফাত আহমেদের গাড়িচালক বিল্লাল এবং দেহরক্ষী রহমত আলীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
সোমবার রাতে পুরান ঢাকার নবাবপুর রোডের একটি হোটেল থেকে সাফাতকে এবং গুলশান থেকে রহমত আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-১০ এর প্রধান জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর এ গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার উপকমিশনার মাসুদুর রহমান বলেন, “গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম রহমত আলী। তিনি সাফাত আহমেদের দেহরক্ষী। তবে এর আগে আপন জুয়েলার্সের অন্যতম মালিক দিলদার আহমেদ জানিয়েছিলেন যে তার ছেলে সাফাত আহমেদের দেহরক্ষী আবুল কালাম আজাদ। মামলার এজাহারে ৫ নম্বর আসামির নাম অজ্ঞাত বলা হয়েছিল।”
এদিকে, ওই মামলার ৪ নম্বর আসামি সাফাতের গাড়িচালক বিল্লালকে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে পুরান ঢাকার নবাবপুর রোডের ইব্রাহিম হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১০।
র্যাব-১০-এর পরিচালক পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হলো। এখনো পলাতক রয়েছেন অপর এক আসামি ইমেকার্স ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্মের স্বত্বাধিকারী নাঈম আশরাফ।
দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর অভিযোগ, গত ২৮ মার্চ বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের সময় ভিডিও ধারণ করেছিলেন বিল্লাল।
এর আগে আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত ও তার বন্ধুকে সিলেট থেকে কদিন আগে গ্রেপ্তার করা হয়।
আসামিদের মধ্যে সাফাতের বন্ধু নাঈম আশরাফ বা আবু হাসান হালিম এখনও পলাতক রয়েছেন।