শনিবার সকাল ১১টার দিকে হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে নামেন শেখ হাসিনা। বিমানবন্দরে এসময় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা।
শুক্রবার বিকালে এমিরেটসের এই ফ্লাইট জুরিখ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা হয়েছিল। দুবাইয়ে এক যাত্রাবিরতি ছিল।
ডাভোসে ধনী ও ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের সংগঠন হিসেবে পরিচিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে বাংলাদেশের কোনো নির্বাচিত সরকার প্রধানের অংশগ্রহণ ছিল এটাই প্রথম।
সম্মেলনে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী পানি ব্যবস্থাপনা, আঞ্চলিক সহযোগিতা, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা, কর্মসংস্থানসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেন এবং প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন। একটি সেশনে রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প নিয়েও আলোচনা হয়।
পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, “ডাভোসে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ একটা ভিন্ন পর্যায়ে চলে গেল।
“ডাভোসে প্রধানমন্ত্রী আসার সাথে সাথে গ্লোবাল ইনভেস্টমেন্টের ফোকাস এসে গেল। এখন বাংলাদেশকে গ্লোবাল ইনভেস্টমেন্ট রাডারের মধ্যে রেখে বড় বড় কোম্পানি, বড় বড় দেশ চিন্তা করবে- বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য খুব ভালো জায়গা।”
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ বলেন, “ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে যোগদান করে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সমস্যাগুলো যেমন তুলে ধরেছেন, তেমনি বিশ্বনেতাদের কাতারে দাঁড়িয়ে সারা পৃথিবীকে মানুষের বাসযোগ্য করার জন্য কী করা উচিৎ- সেই মতামতগুলো ব্যক্ত করেছেন।”
সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সভার কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। (ফাইল ছবি)
শেখ হাসিনাকে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এবারের বার্ষিক সভায় যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানান ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক ক্লস সোয়াব।
চার দিনের এ সম্মেলনে অংশ নিতে শেখ হাসিনা সুইজারল্যান্ডের আল্পস রিসোর্ট শহর ডাভোসে পৌঁছান ১৬ জানুয়ারি। পরদিন ক্লস সোয়াবের সঙ্গে তার বৈঠক হয়।
অর্ধশতাধিক রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিসহ প্রায় তিন হাজার প্রতিনিধি এবারের সম্মেলনে অংশ নেন।
এর আগে ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দীন আহমদ বাংলাদেশের হয়ে এ সভায় অংশ নিয়েছিলেন।