গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মাদক বিক্রেতা আবদুস ছালাম ওরফে ঠসা ছালাম (৪৮) নিহত হয়েছেন। এসময় র্যাবের দুই সদস্যও আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে বিদেশি পিস্তলসহ আগ্নেয়াস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ আগস্ট) ভোর রাত ৩টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের সাতগিরি জামাল গ্রামে এ বন্দুকযুদ্ধ হয়।
নিহত আবদুস ছালাম উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের সাতগিরি গ্রামের মৃত সফু করাতি ওরফে সবুর আলীর ছেলে।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১৩) জানায়, গভীর রাতে ৪-৫ জন মাদক বিক্রেতা ওই এলাকায় মাদক কেনাবেচা করছিলো- এমন গোপন খবর পেয়ে র্যাব সদস্যরা অভিযানে যান। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক বিক্রেতারা গুলি ছোড়ে। র্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে র্যাবের দুই সদস্য ও মাদক বিক্রেতা আবদুস ছালাম ঠসা গুলিবিদ্ধ হন। তবে তার অন্য সহযোগীরা পালিয়ে যায়।
পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবদুস ছালাম ঠসাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ম্যাগজিনসহ ৩ রাউন্ড গুলি, ২০ বোতল ফেনসিডিল ও ১০ কেজি গাঁজা জব্দ করা হয় বলেও জানান তিনি।
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস ছোবহান জানান, ঠসা ছালাম একজন শীর্ষ ও তালিকাভুক্ত মাদক বিক্রেতা। দীর্ঘদিন ধরে নিজ বাড়িতে মাদক কেনাবেচা করে আসছিলেন তিনি। তার বিরুদ্ধে সুন্দরগঞ্জসহ বিভিন্ন থানায় মাদকের ২৮টির অধিক মামলা রয়েছে। এর আগে একাধিকবার আবদুস ছালাম ঠসা পুলিশ ও র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়ে জেলহাজত খেটেছেন। তার মরদেহ সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে। ময়না-তদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।