মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের ৩ নেতা আবদুস সুবহান, এটিএম আজহারুল ইসলাম ও জাতীয় পার্টির প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের আপিল শুনানি ২১ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত ।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) সকালে আসামিদের সময় আবেদন করলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ আবেদন মঞ্জুর করেন । আদালতে সুবহান ও আজাহারের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও শিশির মনির । কায়সারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাজাহান । রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ।
২০১৫ সালের ১৮ মার্চ সুবহানের খালাস চেয়ে আপিল আবেদন দায়ের করা হয়। এর আগে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম ফাঁসির দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আপিল দায়ের করেন।
২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এটিএম আজহারকে ফাঁসির দণ্ড দেন। ২০১২ সালের ২২ আগস্ট মগবাজারের বাসা থেকে এটিএম আজহারুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
অপরদিকে ২০১৫ সালের ১৯ জানুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডাপ্রাপ্ত জাতীয় পার্টির নেতা ও এরশাদ আমলের কৃষি প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার বেকসুর খালাসের আরজি জানিয়ে আপিল দায়ের করেন। আপিল আবেদনে ফাঁসির দণ্ড বাতিলের পক্ষে মোট ৫৬টি কারণ দেখানো হয়।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে নিজের নামে ‘কায়সার বাহিনী’গঠন করে যুদ্ধাপরাধ সংঘটনের দায়ে ২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর কায়সারকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি মো. মুজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি শাহীনুর ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত ৩ সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-২।