সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সাবেক এপিএস মো. ওমর ফারুক তালুকদারকে ঘোষিত আয়ের বাইরে সম্পদ থাকার মামলায় ৫ বছরের কারাদণ্ড ও এক কোটি ২৩ লাখ টাকা জরিমানা করেছে আদালত।
ঢাকার বিশেষ জজ আলাদত মোহাম্মদ আতাউর রহমান রোববার আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, এক কোটি ২৩ লাখ ৪৭ হাজার টাকা জরিমানার পাশাপাশি মোহাম্মদপুরে ওমর ফারুকের একটি ফ্ল্যাট বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। জরিমানার টাকা দিতে ব্যর্থ হলে ওমর ফারুককে আরও আড়াই বছর সাজা খাটতে হবে।
ফারুক এ মামলায় জামিনে ছিলেন জানিয়ে তার আইনজীবী পূর্ণেন্দু দেবনাথ পিনাকী বলেন, রায়ের পরপরই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
২০১২ সালের ৯ এপ্রিল রাতে রাজধানীর পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরের ফটকে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ব্যক্তিগত সহকারী ওমর ফারুক তালুকদারের গাড়িতে বিপুল অর্থ পাওয়ার খবর প্রকাশের পর তা নিয়ে শোরগোল শুরু হয়।
গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ফারুকের সঙ্গে সেদিন ৭০ লাখ টাকা পাওয়া যায়, যা রেলে নিয়োগে ঘুষ হিসেবে নেওয়া হয়েছিল।
রেলের বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাবেক মহা ব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী মৃধার এবং কমান্ড্যান্ট এনামুল হকও ওই গাড়িতে ছিলেন। ওই ঘটনার পর এপিএসকে বরখাস্ত করেন সুরঞ্জিত। এরপরও অব্যাহত সমালোচনার মুখে তাকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করে রাখা হয়।
এরপর দুদকের অনুসন্ধানে ওমর ফারুকের নামে ঘোষিত আয়ের বাইরে এক কোটি তিন লাখ ৯৭ হাজার টাকা থাকার তথ্য বেরিয়ে আসে। ২০১২ সালের আগস্ট মাসে রমনা থানায় তার বিরুদ্ধে এই মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক রাশেদুর রেজা।
মামলা হওয়ার তিন মাস পর ওই বছর ২৭ নভেম্বরে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন ওমর ফারুক তালুকদার। তার আগের দিন এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় দুদক।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ফারুক তার হিসাব বিবরণীতে ৫০ লাখ ৯৩ হাজার টাকার স্থাবর এবং ১ কোটি ২ লাখ ৫৪ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদের কথা বললেও সেখানে ২ লাখ ৪৩ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করা হয়েছে। এছাড়া তার নামে ১ কোটি ৩ লাখ ৯৭ হাজার টাকার সম্পদ পাওয়া গেছে, যা তার আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।