সিলেটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মরদেহে শত শত মানুষ শ্রদ্ধা জানিয়েছে। আজ সোমবার বেলা ১১টার একটু আগে তাঁর মরদেহবাহী হেলিকপ্টারটি সেখানে পৌঁছায়। সিলেট থেকে তাঁর মরদেহ সুনামগঞ্জের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে।
নির্বাচনী এলাকায় (দিরাই-শাল্লা) নেওয়ার পর বিকেলে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের শেষকৃত্য হবে।
সিলেটে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মরদেহে শ্রদ্ধা জানায়। বিএনপি, ওয়ার্কার্স পাটি, কমিউনিস্ট পার্টি ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক বিভিন্ন সংগঠনও তাঁর মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ছেলে সৌমেন সেনগুপ্ত বাবাকে ভালোবেসে আসার জন্য সবাইকে পরিবারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানান।
গতকাল রোববার ভোররাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
পারিবারিক সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার থেকে অসুস্থ বোধ করছিলেন সুরঞ্জিত। গত শুক্রবার সকালে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ে। তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। গতকাল ভোররাত ৪টা ২৪ মিনিটে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মৃত্যুর খবর শুনে হাসপাতালে ছুটে যান দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহকর্মীসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মীরা।