দাম্পত্য কলহের জের ধরে ঢাকার আদাবরে কলেজপড়ুয়া এক তরুণীকে হত্যার দায়ে তার স্বামীর ফঁসির রায় দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ অদালতের বিচরক মশিউর রহমান চৌধুরী পাঁচ বছর আগের চন্দনা খাতুন হত্যা মামলার এই রায় ঘোষণা করেন।
সর্বোচ্চ সাজার পাশাপাশি চন্দনার স্বামী সাজু মিয়া সাধনকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাও করেছেন বিচারক।
পেশায় দর্জি সাজু মিয়া রায়ের সময় কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। বিচারক ফাঁসির রায় ঘোষণার সময়ও তাকে নির্বিকার দেখা যায় বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, হত্যাকাণ্ডের সময় চন্দনার বয়স ছিল ২২ বছর। তিনি মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজে পড়তেন। স্বামীর সঙ্গে আদাবর শেখেরটেক এলাকার এক বাড়িতে তিনি সাবলেট থাকতেন।
২০১২ সালের ১৪ মে রাতে ঝগড়াঝাটির একপর্যায়ে চন্দনাকে খুন করেন সাজু। তিনি পালিয়ে যাওয়ার সময় ওই বাসার ভাড়াটিয়া মাহবুব হোসেন তাকে দেখে ফেলেন।
হত্যাকাণ্ডের পরদিন চন্দনার বাবা মোশারফ হেসেন আদাবর থানায় এই মামলা দায়ের করেন। ২৭ মে মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডে অভিযান চালিয়ে ৩৩ বছর বয়সী সাজু মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ আদালতের পেশকার মাসুদুর রহমান জানান, বাদীপক্ষে মোট নয়জনের সাক্ষ্য শুনে বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করেন বিচারক।