সড়ক দুর্ঘটনায় তিন জেলায় নিহত হয়েছে সাতজন। এর মধ্যে গোপালগঞ্জে বাবা-ছেলেসহ তিনজন, খুলনায় দুই কলেজছাত্র ও এক বাসচালক এবং বগুড়ার কাহালুতে মোটরসাইকেলের এক আরোহী নিহত হয়েছে। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ৬৫ জন।
গোপালগঞ্জ : নৈশকোচ নিয়ন্ত্রণ হা?রি?য়ে খা?দে প?ড়ে বাবা-ছেলেসহ তিনজন নিহত হয়েছে। এতে আহত হয়েছে অন্তত ৩০ জন। গতকাল ভোরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের সদর উপজেলার বেদগ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হল পি?রোজপুরের লাহু?ড়ি গ্রামের মহিউ?দ্দিন মৃধা (৩৫) ও তার ছেলে রাহাত মৃধা (৫) এবং বাসের হেলপার শিমুল মিয়া (৩০)। গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি সেলিম রেজা জানান, ঢাকা থে?কে ছেড়ে আসা পিরোজপুরগামী গো?ল্ডেল লাইন পরিবহনের এক?টি নৈশকোচ বেদগ্রাম এলাকায় পৌঁছলে নিয়ন্ত্রণ হা?রি?য়ে খা?দে প?ড়ে শিশুসহ তিনজন নিহত হয়। দ্রুতগ?তি?তে চলা ওই বাস?টির চালক চোখে ঘুম নিয়ে গাড়ি চালিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটায়।
খুলনা : ট্রাকের পেছনে মোটরসাইকেলের ধাক্কা লেগে দুই কলেজছাত্র নিহত হয়েছে। তারা হল মহানগরীর বয়রা পূজাখোলা এলাকার ইউসুফের ছেলে আকাশ ও একই এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে ফাহিম। তারা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। গতকাল বিকেলে মহানগরীর রূপসা সেতুর বাইপাস সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। অপরদিকে খুলনা-পাইকগাছা সড়কের আঠারো মাইল বাজারে গতকাল দুপুরে দুটি বাসের সংঘর্ষে চালক রবিন বসু (৫০) নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয় ৩৫ যাত্রী। এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, পাইকগাছা থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস দ্রুতবেগে আঠারো মাইল বাজার মোড় অতিক্রম করার সময় খুলনা-পাইকগাছা সড়কে অপর একটি দ্রুতগামী বাসের সংঘর্ষ হয়। এতে পাইকগাছাগামী বাসের চালক রবিন ঘটনাস্থলে মারা যায়।
বগুড়া : কাহালুর দরগাহাট বাসস্ট্যান্ডে বগুড়াগামী বাসের ধাক্কায় বাবলু মিয়া (৪৮) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে। গতকাল দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত বাবলু বগুড়া সদরের নিশিন্দারা মধ্যপাড়া গ্রামের তায়েব আলীর ছেলে।