রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Smoking
 
১৭ গুণী ব্যক্তির হাতে একুশে পদক ও সম্মাননাপত্র তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রকাশ: ০৫:৩৪ pm ২০-০২-২০১৭ হালনাগাদ: ০৫:৪১ pm ২০-০২-২০১৭
 
 
 


একুশ মাথা উঁচু করে যেকোনো অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে শেখায় বলে উল্লেখ করে একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা সমুন্নত রাখার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। 

সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ২০১৭ সালের একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে ভাষা-শিল্প-সাহিত্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গৌরবময় অবদান ও কীর্তির স্বীকৃতিস্বরূপ ১৭ গুণী ব্যক্তির হাতে একুশে পদক ও সম্মাননাপত্র তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ১৯৫৪ সালের আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্ট সরকারই উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকে সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি দেয়, একুশে ফেব্রুয়ারিকে মহান শহীদ দিবস হিসেবে পালন শুরু করে। ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর আওয়ামী লীগই দেশের পক্ষ থেকে ইউনেস্কোতে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের প্রস্তাব দেয় এবং সেটি পাস হয়।

এখন ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস ঘোষণার প্রস্তাব করা হবে বলে উল্লেখ করে এ বিষয়ে সকলের সহযোগিতাও কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একুশ আমাদের শিক্ষা দিয়েছে মাথা উঁচু করে চলার, কারো কাছে কাছে মাথা নিচু না করা, নিজেদের গৌরব ও সম্পদ নিয়েই সামনে এগিয়ে চলা।

একুশের সেই শিক্ষাকে বুকে ধারণ করে আমরা বিজয়ী জাতি হিসেবে বিশ্বসভায় মাথা উঁচু করে চলবো, কারো কাছে মাথা নিচু করবো না বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। আগামী প্রজন্মকেও এজন্য নিজেদেরকে তৈরি করার আহ্বান জানান তিনি।

একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। অনুষ্ঠানে শিল্প-সাহিত্যসহ সমাজের বিভিন্ন অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বছর একুশে প্রদকপ্রাপ্তরা হলেন- ভাষা আন্দোলনে ভাষাসৈনিক অধ্যাপক ড. শরিফা খাতুন, ভাষা ও সাহিত্যে সুকুমার বড়ুয়া ও কবি ওমর আলী (মরণোত্তর)।

শিল্পকলায় (সংগীত) সুষমা দাস, জুলহাস উদ্দিন আহমেদ, ওস্তাদ আজিজুল ইসলাম ও রহমতউল্লাহ আল মাহমুদ সেলিম।
 
শিল্পকলায় (চলচ্চিত্র) তানভীর মোকাম্মেল, শিল্পকলায় (ভাস্কর্য) সৈয়দ আবদুল্লাহ খালিদ, শিল্পকলায় (নাটক) সারা যাকের, শিল্পকলায় (নৃত্য) শামীম আরা নীপা।
সাংবাদিকতায় আবুল মোমেন ও স্বদেশ রায়, গবেষণায় সৈয়দ আকরম হোসেন, শিক্ষায় প্রফেসর ইমেরিটাস ড. আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী, সমাজসেবায় অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান।

 
 

আরও খবর

Daraz
 
 
 
 
 
 
 
 
©ambalanews24.com | Developed & Maintenance by AmbalaIT