বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দেওয়া বাঙালি জাতি ও বাংলা ভাষার জন্য এক বিশাল গৌরবের বলে মত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, এই ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ঘোষণা করায় আমি ইউনেস্কো ও এর মহাসচিব ইরিনা বোকোভাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে বাংলাদেশ এবং বাঙালি জাতির পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদসহ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্ট্রারে’ অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিবৃতিতে এসব কথা বলেছেন। ইউনেস্কোর মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভা প্যারিসে সংস্থার সদরদফতরে সোমবার (৩০ অক্টোবর) এই অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে পরিচালিত নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ শেষে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। বাঙালির বীরত্বপূর্ণ সংগ্রাম ও সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতার এই ভাষণের দিক-নির্দেশনাই ছিল সে সময়ের বজ্রকঠিন জাতীয় ঐক্যের মূলমন্ত্র। এর আবেদন আজও অম্লান। প্রতিনিয়ত এ ভাষণ তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করছে এবং অনাদিকাল ধরে অনুপ্রাণিত করে যেতে থাকবে বলেও মত দেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে এই ভাষণ বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক ভাষণ। যা বাঙালি জাতিকে উজ্জীবিত করেছিল মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে বিজয় ছিনিয়ে আনতে। লেখক ও ইতিহাসবিদ জ্যাকব এফ ফিল্ডের আড়াই হাজার বছরের গণজাগরণ ও উদ্দীপনামূলক বিশ্বসেরা ভাষণ নিয়ে লেখা ‘We shall Fight on the Beaches: The Speeches That Inspired History’ গ্রন্থে ৭ মার্চের ভাষণ স্থান পেয়েছে। বিশ্বের ১২টি ভাষায় অনুদিত হয়েছে এই ভাষণ। ইউনেস্কোর বিশ্ব আন্তর্জাতিক রেজিস্ট্রার স্মারকে অন্তর্ভুক্তি এই ধারাবাহিকতায় আরেকটি মাইলফলক।