দক্ষিণ সিটি (ডিএসসিসি) কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ‘ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৯০ শতাংশ বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছি। অবশিষ্ট বর্জ্যও দ্রুত সময়ের মধ্যে অপসারণ করা হবে। এ কাজ চলমান।’ রোববার (০৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ২টার সময় উত্তর সিটি কর্পোরেশন নগর ভবন কার্যালয়ে ‘কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ সংক্রান্ত’ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। মেয়র বলেন, কোরবানির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দিয়েছিলাম। ঘোষিত সময়ের মধ্যে ৯০ শতাংশ বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছি। অবশিষ্ট বর্জ্যও দ্রুত সময়ের মধ্যে অপসারণ করা হবে। সম্মেলনে মেয়র সাঈদ খোকন ছাড়াও ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ উভয় সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা, বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ‘আমরা উভয় সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দিয়েছিলাম। ঘোষিত সময়ের মধ্য গতকাল দুপুর ২টা থেকে আজ দুপুর ২টা পর্যন্ত ৯০ শতাংশ বর্জ্য অপসারণ করতে পেরেছি। এটা চলমান রয়েছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে অবশিষ্ট বর্জ্য অপসারণ করা হবে।’ এছাড়া আজ যেসব পশু জবাই দেয়া হচ্ছে তা তাৎক্ষণিক অপসারণে সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা কাজ করছেন বলেও জানান তিনি। দক্ষিণ সিটির এ মেয়র আরও বলেন, ‘ঢাকা দক্ষিণে ঈদের তৃতীয় দিন পর্যন্ত মোট ১৮ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য হবে বলে ধারণা করেছিলাম। এখন পর্যন্ত তিন হাজার ট্রিপে ১৪ হাজার বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। অবশিষ্ট বর্জ্য দ্রুত সময়ে অপসারণ করা হবে।’ অপরদিকে, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ঈদের তৃতীয় দিন পর্যন্ত ১০ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য হবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। এর মধ্যে দুপুর একটা পর্যন্ত এক হাজার ৬৮৬ ট্রিপের মাধ্যমে আট হাজার ২৭০ মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, বর্জ্য অপসারণের কাজে দুই সিটতে ১৭ হাজারের মতো পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োজিত রয়েছেন। সাঈদ খোকন বলেন, ‘নগরীর কোথাও কোনো বর্জ্য পড়ে থাকতে দেখা গেলে আমাদের হটলাইনে ফোন করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। এ পর্যন্ত আমাদের কাছে ৯৫০টির মতো কল এসেছে। এর মধ্যে ৩১ জন তারা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সহযোগিতা চেয়েছেন। এই ৩১ জন থেকে আমরা দুপুর ১টা পর্যন্ত ২২ জনের চাহিদা পূরণ করেছি। বাকি ৯ জনের সেবা দেয়া প্রক্রিয়াধীন। এছাড়া বাকিরা হটলাইন সঠিক কি না তা জানার জন্য ফোন করেছিলেন।’