রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ এলাকায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক সহযোগীসহ নব্য জেএমবির নেতা নুরুল ইসলাম ওরফে মারজান নিহত হয়েছেন। কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম আজ শুক্রবার সকালে প্রথম আলোকে এই তথ্য জানান।
মনিরুল ইসলাম বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বেড়িবাঁধ এলাকায় এই বন্দুকযুদ্ধ হয়। এতে নিহত দুজনের মধ্যে একজন নব্য জেএমবির নেতা মারজান রয়েছেন।
পুলিশের ভাষ্য, নব্য জেএমবির নেতা মারজান ঢাকার গুলশান হামলার ‘অপারেশন কমান্ডার’ ছিলেন।
ডিএমপির গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান মোবাইল ফোনের এক খুদে বার্তায় জানান, দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে বন্দুকযুদ্ধে মারজানসহ দুজন নিহত হন। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, একটি ছোরা, একটি মোটরসাইকেল ও বিস্ফোরকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের চার সদস্য আহত হয়েছেন।
বন্দুকযুদ্ধে নিহত অপরজনের নাম সাদ্দাম বলে পুলিশের বরাতে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে।
নিহত দুজনের লাশ অজ্ঞাত হিসেবে গতকাল দিবাগত রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠায় মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ।
হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, নিহত দুজনের বয়স ৩০-৩৫ বছর।
মারজানের বাড়ি পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের আফুরিয়া গ্রামে। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ছাত্র ছিলেন।
পরিবারের ভাষ্য, গত বছরের জানুয়ারিতে বিয়ে করেন মারজান। এরপর বউ নিয়ে নিখোঁজ হন।
গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর আজিমপুরে জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার হন মারজানের স্ত্রী আরেফিন প্রিয়তি।
একটি গোয়েন্দা সূত্রের ভাষ্য, গত বছরের এপ্রিলে মারজান নব্য জেএমবির বিভিন্ন হামলা সমন্বয় করার দায়িত্ব পান। তাঁর সঙ্গে নব্য জেএমবির নেতা তামিম চৌধুরী ও অন্যদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল বা রয়েছে।