রাজধানীর আশকোনার জঙ্গি আস্তানায় প্রায় ১২ ঘণ্টার পুলিশি অভিযানে জঙ্গিনেতা তানভীর কাদেরীর ছেলেসহ দুজন নিহত হয়েছেন।
আহত অবস্থায় একটি শিশুকে উদ্ধারের পাশাপাশি আত্মসমর্পণ করেছেন নিহত আরেক জঙ্গি নেতা জাহিদুল ইসলামের স্ত্রীসহ চারজন।
দক্ষিণখানের পূর্ব আশকোনায় হজ ক্যাম্পের কাছে তিন তলা বাড়ি সূর্যভিলায় শনিবার ভোররাতে অভিযান শুরু করে বিকালে তা শেষ হয়।
বিকাল পৌনে ৪টার দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও পুলিশ প্রধান এ কে এম শহীদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের সামনে এসে অভিযানের সমাপ্তির কথা জানান।
তিন তলা ওই বাড়ির নিচ তলার জঙ্গি আস্তানায় এখনও অনেক বিস্ফোরক পড়ে আছে বলে কাউকে ঢুকতে দেয়নি পুলিশ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “সেখানে অনেক গ্রেনেড পড়ে আছে, বিস্ফোরক পড়ে আছে। তাজা বোমা রয়েছে। আমাদের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটগুলো এখন কাজ করছে।”
ঘটনাক্রম
# এক প্রবাসীর মালিকানাধীন ওই বাড়িটি মধ্যরাতে ঘিরে ফেলে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট, পরে অন্য শাখাগুলোও যোগ দেয়।
# বাড়ির নিচতলায় জঙ্গিদের আস্তানা বলে সন্দেহের কথা জানায় পুলিশ; বের করে আনা হয় অন্য ঘরগুলোর বাসিন্দাদের।
# জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ করতে আহ্বান জানানো হয় হ্যান্ড মাইকে; সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জঙ্গিনেতা জাহিদের স্ত্রী, মেয়েসহ চারজন পুলিশের হাতে ধরা দেন।
# ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া তখন জানান, ভেতরে জঙ্গিনেতা কাদেরীর ছেলেসহ আরও তিনজন রয়েছেন।
# দুপুর ১টার দিকে বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়; এক নারী বেরিয়ে এসে তার দেহের সঙ্গে বাঁধা গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটান বলে জানায় পুলিশ। তার দেহ সেখানই পড়ে থাকে।
# ওই নারীর সঙ্গে থাকা একটি শিশু আহত হন। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
# এরপর থেকে সেখানে থেকে থেকে গুলির শব্দ আসতে থাকে; বিকাল পৌনে ৪টায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের সামনে এসে বলেন, কাদেরীর ছেলেও নিজের বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন।