ডোকলাম নিয়ে চীনের উপরে পাল্টা চাপ বাড়িয়ে সিকিম-সহ উত্তর-পূর্ব সীমান্তে আরো সেনা মোতায়েন করেছে ভারত। সংবাদ সংস্থা পিটিআই এর খবরে বলা হয়েছে, চীনা সীমান্তে সেনা সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি সতর্কতাও বাড়ানো হয়েছে। তবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। প্রতিরক্ষামন্ত্রী অরুণ জেটলি শুক্রবার (১১ আগস্ট) লোকসভায় বলেছেন, ভারতের সশস্ত্র বাহিনী যে কোনো পরিস্থিতির মোকাবিলায় সক্ষম। ডোকলাম সঙ্কট নিয়ে লোকসভায় এক প্রশ্নের জবাবে জেটলি বলেন, "আমাদের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় যে কোনো পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে তৈরি।" চীন সীমান্তে সেনার গতিবিধি তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে বিভিন্ন মহল। তাদের বক্তব্য, চীনের চোখ রাঙানিকে ভারত যে ভয় পায় না, তা বোঝাতেই এমন পদক্ষেপ। এরই মধ্যে বিমস্টেক-এর সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দিতে কাঠমান্ডু গিয়েছেন সুষমা স্বরাজ। চীনকে কোণঠাসা করতে বিমস্টেক-এর এই মঞ্চকে কাজে লাগাতে তৎপর হয়েছেন সুষমা। বিমস্টেক বৈঠকের ফাঁকেই তিনি দেখা করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ভুটানের দামচো দরজির সঙ্গে। ডোকলাম নিয়ে উত্তেজক পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পরে সুষমা এবং দামচো-র এটিই প্রথম বৈঠক। ফলে দুই পররাষ্ট্র মন্ত্রীর এই বৈঠকের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে বলে মনে করেছেন কূটনীতিকরা। বৈঠকে দামচোকে আশ্বাস দিয়ে সুষমা জানান, ভুটানের সার্বভৌমত্বে কোনও ভাবেই নাক গলাবে না ভারত। ভুটানও জানিয়েছে, ডোকলাম তাদের এলাকা। সেখানে রাস্তা তৈরি করে চীনা সৈন্যরা ভুটানের সার্বভৌমত্বে হাত দিয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকের ছবি টুইটারে পোস্ট করে লিখেছেন, "ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং প্রতিবেশীর সঙ্গে। বিমস্টেক বৈঠকের ফাঁকে পররাষ্ট্র মন্ত্রী দেখা করলেন ভুটানের বিদেশমন্ত্রী দামচো দরজির সঙ্গে।" বৈঠকের পরে দামচো বলেন, "আলোচনা এবং আপসের মাধ্যমেই ডোকলাম পরিস্থিতির সমাধান হবে বলে আমাদের আশা।" সূত্র: আনন্দবাজার