আফগান সীমান্তে সন্ত্রাসী হামলায় পাকিস্তানের পাঁচ সেনা নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় সন্দেহভাজন ১০ হামলাকারীও নিহত হয়েছে। পাকিস্তানের আইএসপিআর এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর ডন অনলাইনের।
আইএসপিআর তাদের বিবৃতিতে জানায়, রোববার রাতে আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী পাকিস্তানের মোহমাদ এজেন্সির তিনটি পোস্টে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এ সময় সেনা ও সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলি হয়। সেনাদের যথাযথ জবাবে পিছু হটতে বাধ্য হয় তারা।
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়া মোহমাদ এজেন্সিতে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সেনাদের প্রতিরোধের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা সব সময়ের হুমকি। তাদের স্বাধীন চলাফেরার/কাজকর্ম অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।’ তিনি পাকিস্তানের মতো আফগানিস্তানের পাশেও সৈন্য মোতায়েন থাকার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
এমন সময় সীমান্তে এই হামলা হলো, যখন আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে টালমাটাল সম্পর্ক বিরাজ করছে। গত মাসে পাকিস্তানে কয়েকটি হামলায় শতাধিক মানুষ নিহত হওয়ায় আফগানিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দেয় পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ। এ হামলার জন্য আফগানিস্তান-ভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠনকে দায়ী করে পাকিস্তান।
এরপর সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পাকিস্তান সীমান্তে অভিযান শুরু করে। আফগানিস্তানের মধ্যে সীমান্তবর্তী এলাকায় সন্ত্রাসী আস্তানায় অভিযান চালায় পাকিস্তানি বাহিনী। তারা জামাত-উল আহরার নামে জঙ্গি সংগঠনের প্রশিক্ষণশিবির লক্ষ্য করে অভিযান চালায়। এ সংগঠন ১৩ ফেব্রুয়ারি লাহোরে এবং ১৫ ফেব্রুয়ারি মোহমাদ এজেন্সির রাজনৈতিক সদর দপ্তরে আত্মঘাতী হামলা চালানোর দায় স্বীকার করে।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী কাবুলের প্রতি আহ্বান জানায়, আফগানিস্তানে লুকিয়ে থাকা ৭৬ জন পাকিস্তানি সন্ত্রাসীকে পাকিস্তানে ফেরত পাঠাতে। কারণ, তারা পাকিস্তানে সন্ত্রাসী কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।
এর জবাবে আফগানিস্তান পাকিস্তানে লুকিয়ে থাকা তালেবান ও হাক্কানি নেটওয়ার্কের ৮৫ জন নেতা ও ৩৫ জন সন্ত্রাসীর তালিকা দিয়ে তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর কথা বলে। কাবুল দাবি করে, ‘আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে অপরাধ’-এর অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
পাকিস্তানের আধা-স্বায়ত্তশাসিত সাতটি আদিবাসী জেলার মধ্যে মোহমাদ এজেন্সি একটি। সেনাদের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকলেও সেখানে সন্ত্রাসী ও জঙ্গি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। উভয় দেশের সন্ত্রাসীরা এ অঞ্চলকে তাদের অভয়ারণ্য হিসেবে ব্যবহার করে।