রাজধানীর হাজারীবাগের সব ট্যানারি অবিলম্বে বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
রোববার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে ট্যানারি কারখানার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস। রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফিদা এম কামাল।
এর আগে গত ৬ মার্চ রাজধানীর হাজারীবাগের সব ট্যানারি অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে কারখানাগুলোর বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানি বিচ্ছিন্ন করাসহ সব সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত। বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ এবং বিচারপতি মো. সেলিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রইস উদ্দিন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
এর আগে আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে ট্যানারি শিল্প কারখানা সরিয়ে নিতে সরকার নতুন করে যে সময়সীমা দিয়েছে, ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)।
ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত এ আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
মামলার বিবরণে জানা যায়, এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০১ সালে ট্যানারি শিল্প হাজারীবাগ থেকে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওই আদেশ বাস্তবায়িত না হওয়ায় ২০১০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হাজারীবাগের ট্যানারি শিল্প অন্যত্র সরিয়ে নিতে ২০০৯ সালের ২৩ জুন হাইকোর্ট ফের নির্দেশ দেন। সরকার পক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরে ওই সময়সীমা কয়েক দফা বাড়িয়ে ২০১১ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। এরপরও ওই এলাকা থেকে ট্যানারি শিল্প কারখানা সরিয়ে নেওয়া হয়নি।
পরে নতুন করে শিল্প মন্ত্রণালয়ের থেকে জানানো হয়, ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হাজারীবাগ থেকে যেসব ট্যানারি স্থানান্তর করা হবে না, ১ মার্চ থেকে ওই সব ট্যানারির গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে।