রাজধানীর মিরপুরের দারুস সালাম থানার ভাঙা দেয়াল এলাকার ‘জঙ্গি আস্তানায়’ নারী-শিশুসহ সাতজন আছে বলে ধারণা করছে র্যাব।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে এক ব্রিফিংয়ে এই ধারণার কথা জানান র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ।
র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, গতকাল সোমবার রাতে টাঙ্গাইলে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালিয়ে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের তথ্যের ভিত্তিতে দারুস সালামের জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালানো হচ্ছে। বাড়িটির পঞ্চম তলায় সন্দেহভাজন জঙ্গিরা অবস্থান করছে।
বাড়িটির ২৪টি ফ্ল্যাটের মধ্যে ২৩টি থেকে পুরুষ-নারী-শিশুসহ ৬৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান বেনজীর আহমেদ। বাড়িটির গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।
র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, আস্তানায় আবদুল্লাহ নামের এক জঙ্গি আছেন বলে এখন পর্যন্ত জানা গেছে। অভিযান শেষ হলে তাঁর সঠিক নাম-পরিচয় জানা যাবে। এ ছাড়ায় আস্তানায় আবদুল্লাহর দুই স্ত্রী, দুই সন্তান ও দুই সহযোগী আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আস্তানার ভেতরে প্রচুর বিস্ফোরক থাকতে পারে।
জঙ্গি আস্তানা থেকে আবদুল্লাহর বোন ইতিমধ্যে আত্মসমর্পণ করেছেন বলে জানান বেনজীর আহমেদ। তিনি বলেন, বোনকে দিয়ে আবদুল্লাহকে আত্মসমর্পণ করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, তাঁরা আবদুল্লাহকে আত্মসমর্পণ করানোর জন্য ফোনে বারবার যোগাযোগ করছেন। কিন্তু আবদুল্লাহ এখনো আত্মসমর্পণ করতে রাজি হননি।
বেনজীর আহমেদ আরও বলেন, ‘আমরা কোনো নিরপরাধ মানুষের প্রাণহানি চাই না। তাই তাঁকে (আবদুল্লাহ) আত্মসমর্থনের অনুরোধ করছি। আমরা আরও অপেক্ষা করব।’
র্যাবের মহাপরিচালক জানান, জঙ্গি আস্তানায় রাতে অভিযান শুরু করলে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আস্তানায় আইইডি আছে। রাতে গুলির ঘটনাও ঘটে। আবদুল্লাহর কাছে পিস্তলও থাকতে পারে। সবদিক বিবেচনায় নিয়ে সতর্কতার সঙ্গে অভিযান চালানো হচ্ছে।