মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Smoking
 
‘লোকমেলার পার্বণ উৎসবের’ প্রথম দিন
প্রকাশ: ১০:৫৯ am ২৯-০৭-২০১৭ হালনাগাদ: ১১:১৩ am ২৯-০৭-২০১৭
 
 
 


ভেলা ভাসানি, লালকাছ ও গাজীর পট- লোকমেলার এসব পরিবেশনায় ঢাকার শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ যেন হয়ে উঠল এক খণ্ড গ্রাম-বাংলা।

‘রঙ্গে ভরা বঙ্গ’ নামের একটি সংগঠন আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ‘লোকমেলার পার্বণ উৎসবের’ প্রথম দিন শুক্রবার বিকালে পরিবেশিত হয় গাজীরপট, লালকাছ ও বেহুলার ভাসান।

অনুষ্ঠানে ‘বাংলার মেলা বাংলার পার্বণ’ নামে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা। এরপর আলোচনা শেষে নরসিংদী থেকে আসা ফজল আলীর দল গাজীরপট, বিক্রমপুর থেকে আসা অজিৎ গোস্বামীর দল লালকাছ ও টাঙ্গাইল থেকে আসা রহিম বাদাইমার দলের ভাসান গান পরিবেশিত হয়। 


ছবিঃ শামিম আহম্মেদ

অধ্যাপক হায়াৎ মামুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। বিশেষ অতিথি ছিলেন পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান খান কবির। বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন শিল্পী নিসার হোসেন ও বাংলা একাডেমির ফোকলোর বিভাগের পরিচালক শাহিদা খাতুন।


ছবিঃ শামিম আহম্মেদ

আসাদুজ্জামান নূর বলেন, “সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের দেশ বাংলাদেশ। এমন সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য বিশ্বের অন্য কোনো দেশে মেলে না। আধুনিক প্রযুক্তির কারণে হারিয়ে যাচ্ছে লোক-সংস্কৃতি। সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই এই লোক-সংস্কৃতির পুনর্জাগরণ ঘটাতে হবে।”


ছবিঃ শামিম আহম্মেদ

শনিবার বিকালে একই প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানের ইতি টানা হবে। এদিন পরিবেশিত হবে দোহারের মাদার বাঁশ, মধুপুরের রে রে ও মুন্সীগঞ্জের ভেলা ভাসানি।

কোনো নাটক নিয়ে নয়, নাটকের চুম্বক অংশ পাঠের উৎসব। ‘পাঠাভিনয় উৎসব’ শিরোনামে ভিন্নধর্মী এ উৎসবের আয়োজন করেছে লোক নাট্যদল। 

শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার হলে দুই দিনব্যাপী এই উৎসব শুরু হয়েছে শুক্রবার। ১৬টি নাট্যদলের ১৬ নাটকের নির্বাচিত অংশ পাঠ করছেন থিয়েটার অঙ্গনের প্রবীণ ও নবীন শিল্পীরা।

শুক্রবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, নাট্যজন সারা যাকের ও গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল আকতারুজ্জামান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।


ছবিঃ শামিম আহম্মেদ

উৎসবের প্রথম দিনে পাঠ করা হয় লোক নাট্যদলের ‘হেলেন কেলার’, ঢাকা থিয়েটারের ‘হরগজ’, অনুশীলন নাট্যদলের ‘হত্যার শিল্পকলা’, আরণ্যক নাট্যদলের ‘দি জুবলী হোটেল’, রংপুর নাট্যকেন্দ্রের ‘মেরাজ ফকিরের মা’, নাগরিক নাট্যাঙ্গন বাংলাদেশের ‘ক্রীতদাসের হাসি’, মণিপুরি থিয়েটারের ‘রুধিররঙ্গিণী’ এবং শব্দাবলী গ্রুপ থিয়েটারের ‘বধ্যভূমিতে শেষ দৃশ্য’।

ছায়ানটে বর্ষা বন্দনা

সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট আয়োজনে কথা, গান আর নৃত্যের মধ্য দিয়ে বন্দনা করা হয় বর্ষার।

আয়োজনের শুরুতেই রবীন্দ্রনাথের ‘রিম্ ঝিম্ ঘন ঘন রে বরষে’ গানের সঙ্গে ছিল ছায়ানটের শিল্পীদের নৃত্য পরিবেশনা। এরপর কথনে অংশ নেন ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসা। সত্যম্ কুমার দেবনাথ ‘ঝর ঝর বরিষে বারিধারা’, সেঁজুতি বড়ুয়া পরিবেশন করেন ‘আজি ঝরঝর মুখর বাদর-দিনে’।

একক পাঠে অংশ নেন নাসিমা খান মজলিশ। ছায়ানটের শিল্পীদের সম্মেলক কণ্ঠে ‘মেঘের হিন্দোলা দেয় পূব-হাওয়াতে দোলা গান’ গানের সঙ্গে দ্বৈত নৃত্য পরিবেশন করেন মা-মেয়ে শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুদেষ্ণা স্বয়ম্প্রভা তাথৈ।

নাসিমা শাহীন ফ্যান্সি, আফসানা রুনা, রেজাউল করিম ও শ্রাবন্তী ধর গেয়ে শোনান ‘বঁধুয়া নিদ নাহি আঁখি পাতে’, ‘বাদল ঝুম্ ঝুম্ বোলে’, ‘ঝরো ঝরো বারি ঝরে অম্বর ব্যাপিয়া’, ‘এলো কৃষ্ণ কানাইয়া তমাল বনে’। ফারহানা আক্তার শ্যার্লি ‘বঁধু, এমন বাদলে তুমি কোথা’ ও বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী ‘বরষা ঐ এলো বরষা’ পরিবেশন করেন। জহিরুল হক খান পাঠ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সোনার তরী’।

‘শ্রাবণ ঝুলাতে বাদল রাতে’ গানের সঙ্গে ছিল সম্মেলক নৃত্য। নাহিয়ান দূরদানা শুচি, সুমন মজুমদার, সুস্মিতা দেবনাথ শুচি ও খায়রুল আনাম শাকিল গেয়ে শোনান ‘আবার কি এলো রে বাদল’, ‘বরষা আইলো ঐ’, ‘শাওন আসিল ফিরে’।

 
 

আরও খবর

Daraz
 
 
 
 
 
 
 
 
©ambalanews24.com | Developed & Maintenance by AmbalaIT