উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে কোনো নিষেধাজ্ঞা কাজ করবে না। পিয়ংইয়ং সতর্ক করে বলেছে, এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা ও চাপ তাদের পারমাণবিক কর্মসূচিকে আরো গতিশীল করবে। উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, "ডিপিআরকের (ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অব কোরিয়া) ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের নিষেধাজ্ঞা এবং চাপ যত বাড়বে, আমাদের পারমাণবিক কার্যক্রম ততই গতিশীল হবে।" এক দৃঢ় বিবৃতিতে দেশটি জানিয়েছে, জাতিসংঘের এই নতুন নিষেধাজ্ঞা অত্যন্ত "আক্রোশপূর্ণ, অনৈতিক ও অমানবিক'"। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রেসিডেন্ট জাতিসংঘে জোরালো প্রস্তাব উত্থাপনের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ার ওপর চাপ আরো বাড়াতে সম্মত হয়েছেন। এর আগে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া যৌথ সামরিক মহড়া চালিয়েছে। গত শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জাপানের ওপর দিয়ে তাদের সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে উত্তর কোরিয়া। এটি ৩ হাজার ৭০০ কিলোমিটার (২ হাজার ২৯৯ মাইল) ভ্রমণ করেছে। ক্ষেপণাস্ত্রটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের গুয়ামে রাখা হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার নাগালের মধ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে অত্যন্ত উস্কানিমূলক বলে উল্লেখ করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে নিন্দা প্রস্তাব করা হয়।