অস্কারজয়ী অভিনেত্রী নাতালি পোর্টম্যান কেবল তাঁর অভিনয় নয়, অনন্যসাধারণ মানসিক দৃঢ়তার জন্যও প্রশংসিত। বেঞ্জামিন মিলেপিডের সঙ্গে এরই মধ্যে একটি সন্তান রয়েছে তাঁর, এখন গর্ভে অনাগত দ্বিতীয় সন্তান। এই সময়টায় যে কেবল স্বামী, সংসার আর বিশ্রাম নিয়েই সময় কাটিয়ে দেবেন—তেমন নয় নাতালির পরিকল্পনা। টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে জানা গেল, নিজের পরবর্তী ছবির চিত্রনাট্য এই মাতৃত্বকালীন ছুটির সময়েই লিখে ফেলতে চান নাতালি।
সন্তানের জন্মের এখন মাসখানেকের মতো সময় বাকি। কাজেই সব কাজ ছেড়েছুড়ে আপাতত বাড়িতে তিনি। আপাতত মনোযোগ তো অবশ্যই অনাগত সন্তানকে নিয়ে, তবে এর সঙ্গে নিজের বড়পর্দার প্রজেক্ট নিয়েও ভাবতে চাচ্ছেন তিনি। ছবিটি তিনি নিজেই নির্মাণ করতে চান।
নাতালি পোর্টম্যানের কথা হলো, এই সময়টায় মনোযোগ দিয়ে লিখতে তাঁর একটু সুবিধা হবে। ‘আমার যেহেতু বিশ্রাম দরকার, আমার একটু ছুটিতেই থাকতে হবে। আর তাই আমার লেখাটাও দরকার, একটু মনোযোগ দেওয়া দরকার, কোনো একটা কিছুর দিকে মনোযোগটা রাখতে হবে’—এভাবেই বলেন তিনি।
নিজের এই ছবির মাধ্যমে নারীবাদের প্রচারণাকে ছড়িয়ে দেওয়াও নাতালির অন্যতম লক্ষ্য। তিনি মনে করেন, বর্তমানের ছবিতে যে নারীদের কর্তৃত্বের বিষয়টি প্রকৃতপক্ষে এখনো হয়নি—এই বিষয়টি মেনে নেওয়া দুঃখজনক। এই বিষয়ে তাঁর কথা, ‘প্রতিবছরই তো দেখছি পুরুষদের নির্মিত, লেখা আর গড়া ছবিগুলোই পুরস্কারের অনুষ্ঠানগুলো মাত করে ফেলছে। আমি অবশ্যই এমনটা বলছি না যে পুরুষরা ছবি বানাতে পারবে না! আমার তো পুরুষদের বানানো ছবি ভালোই লাগে। তবে এ ব্যাপারটাই আজব আর দুঃখজনক যে নারীদের উপস্থিতি এই নির্মাণের পরিসরটায় একেবারেই নগণ্য।’
ইসরায়েলে জন্ম নেওয়া নাতালি পোর্টম্যান পড়ালেখা করেছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এই হলিউড অভিনেত্রীর বয়স এখন মোটে ৩৫, তবে সেখানে তিনি সুপরিচিত প্রায় দুই যুগ আগে থেকে! ১৯৯৪ সালে বিখ্যাত অ্যাকশন থ্রিলার ‘লিও : দ্য প্রফেশনাল’-এ শিশু চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয় করে প্রশংসিত হন তিনি। ২০১১ সালে ড্যারেন অ্যারোনফস্কির সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার ‘দ্য ব্ল্যাক সোয়ান’ তাঁকে এনে দেয় অস্কারে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার।