সকাল সাড়ে ছয়টা থেকেই আকাশ কালো করে মেঘ জমে। এরপর শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি। প্রায় টানা বর্ষণের রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে সৃষ্টি হয় যানজট। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, অফিসগামী মানুষকে গন্তব্যে যেতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
রাজধানীর কোনো কোনো সড়কে হাঁটু পানি জমে গেছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি ২৭, সোবহানবাগ, বসুন্ধরা সিটির পেছনে গার্ডেন রোড, পান্থপথ মোড় পার হয়ে গ্রিনরোডের কিছু জায়গা, পশ্চিম তেজতুরী পাড়া, ফকিরাপুর, খিলগাঁও, মতিঝিল, পল্টনসহ বেশির ভাগ এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
রাজধানীর গার্ডেন রোডে থাকেন হাসনা জামান। তিনি জানান, সকাল ৭টায় মেয়েকে স্কুলে দিয়ে অফিসে যান তিনি। হঠাৎ বৃষ্টিতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন। মেয়ে ও তিনি দুজনের ভিজে যান। বৃষ্টিতে কোনো যানবাহন পাননি। তিনি বলেন, ‘হাঁটু পানি ডিঙিয়ে বাচ্চাকে স্কুলে দিয়েছি।’
তেজতুরী বাজার এলাকার বাসিন্দা সাইফুল জামান। তিনি বলেন, বৃষ্টির জন্য দ্বিগুণ তিনগুণ ভাড়া বেশি চেয়েছে সব রিকশাওয়ালা। ২০ টাকার ভাড়া ৫০ টাকা দিয়ে কারওয়ানবাজারে তাঁর অফিসে পৌঁছান তিনি।
তবে এই বৃষ্টিতে যাদের নিজস্ব পরিবহন আছে যানবাহন খোঁজার ঝক্কি পেরোতে হয়নি তাদের। মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা অনিরুদ্ধ জানান, নিজের মোটরসাইকেল ছিল। তবে সংসদ ভবনের সামনে অর্ধেক রাস্তা জুড়ে পানি ছিল। মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনের কাছ পর্যন্ত পানি উঠে গিয়েছিল।
বৃষ্টিতে কারওয়ান বাজারের কাঁচাবাজার এলাকায় খেটে খাওয়া মানুষের চরম ভোগান্তি দেখা যায়। মাত্র আধঘণ্টা রাস্তায় প্রায় হাঁটু পানি উঠে যায়। সবজিসহ কাঁচা পণ্য নিয়ে বিপাকে পড়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। অনেক জায়গায় পানিতে ভাসতে দেখা যায় সবজি।
আবহাওয়া দপ্তর বলছে, মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। শুধু রাজধানীতে নয়, সারা দেশেই মৌসুমি বায়ু সক্রিয় রয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেটেও ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে।